বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাণোচ্ছ্বল ক্রিকেটারদের একজন তিনি। অন্য সবাই যখন লংগার ভার্শন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, সেই যুগে এসে তাঁর ছোটবেলার স্বপ্ন টেস্ট ক্রিকেট। দীর্ঘ বিরতির পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে অবশেষে নিজেকে খুজে পাওয়া শুরু করেছেন। সব ফরম্যাটেই অবশেষে পায়ের নিচে মাটি খুজে পাচ্ছেন তাসকিন আহমেদ।
শ্রীলঙ্কার কঠিন সফর শেষ করে আসার পর তাসকিন মুখোমুখি হয়েছিলেন খেলা ৭১ এর।
নিজের বোলিং, ক্যাচ ভাগ্য থেকে শুরু করে জীবনের নানা বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন এই ফাস্ট বোলার। কথা বলেছেন, বোলিং কোচ, ব্যক্তিগত জীবন, গতির লক্ষ্য, অভিনয় এবং মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নিয়ে। তাসকিন আহমেদের বিস্তারিত সাক্ষাৎকার রইলো সবার জন্য।
কোয়ারেন্টিন দিয়ে শুরু করা যাক। পরপর দুটো কড়া কোয়ারেন্টিন করলেন দুটো সিরিজে। কেমন অভিজ্ঞতা হলো?
টাফ। খুব টাফ। এটা আসলে বলে বোঝানো কঠিন। নিউজিল্যান্ডে তো খুব কঠিন সময় গেছে। কেউ কারো মুখ না দেখে থেকেছি। এরকম অভিজ্ঞতা আগে ছিলো না। আসলে আমাদের কেনো, কারোরই এই অভিজ্ঞতা আগে ছিলো না। তারপরও একটা আশা থাকে যে, কোয়ারেন্টিন শেষ হলে খেলতে পারবো। ওই আশাতেই কোয়ারেন্টিনটা কাটিয়ে ফেলা যায় আর কী।
করোনা তো সবাইকে স্বাভাবিক জীবন থেকে সরিয়ে ফেলেছে। আপনি ঢাকার ছেলে। সবসময় বন্ধুবান্ধব নিয়ে হইচই করে বেড়াতেন। সেই জীবনটা এই দু বছর ধরে কতটা মিস করছেন?
দাদা, আমার জন্য এই জীবন আরও আগে থেকে শুরু হয়েছে। করোনার আগে থেকেই আমি সেই জীবন মিস করছি। আমার লক ডাউন অনেক আগে শুরু হয়েছে।
ঠিক বুঝতে পারিনি।
আমার যখন অফ ফর্ম, তারপর ইনজুরির কারণে দলের বাইরে চলে ঘেলাম, সেই সময় থেকে এটা শুরু হয়েছে। আমার সেই সময়ে আমার বন্ধু বান্ধব নিজেরাই আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। ফলে কোভিডের আগে থেকেই আমার এই জীবন শুরু হয়েছে।
তারা চলে গেছে, নাকি আপনি নিজেকে আইসোলেটেড করে ফেলেছিলেন?
আমি নিজেকে সরাইনি। আমি প্রত্যাশা করেছিলাম, আমার বন্ধুবান্ধব আমার পাশে সবসময়ই থাকবে। সেটা হয়নি। ওরাই আমাকে ইগনোর করা শুরু করলো।
আচ্ছা। খারাপ সময়ের আলোচনা আর না করি। সুসময়ে ফেরা যাক। শ্রীলঙ্কায় এই টেস্ট শুরুটা কী নতুন শুরু হলো বলা যায়?
ডেফিনটলি নতুন একটা শুরু। আমি তো অনেকদিন আগে টেস্ট খেলেছিলাম। এবার নতুন করেই মাঠে নামছি মনে হচ্ছিলো। আসলে কী, আমার জন্য এখন টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি; সবকিছুই নতুন করে শুরু মনে হচ্ছে। আমাকে সবই গোড়া থেকে শুরু করতে হচ্ছে। আমিও সেভাবে নিচ্ছি। আমি আসলে একটা করে বল নিয়ে ভাবছি। প্রতিটা বল করার সময় ভাবি, এটা প্রথম বল। নিজেকে বলি-ওয়ান বল অ্যাট এ টাইম। তারপরও টেস্ট তো বাকীদের চেয়ে আলাদা।
আপনি সেই শুরু থেকে টেস্ট নিয়ে খুব রোমাঞ্চিত। ব্যতিক্রমীভাবে আপনি এই খেলাটাকে খুব ভালোবাসেন এবং টেস্টে পারফরম করতে চান। এখন কী একটু মনে হচ্ছে যে, সেটা হবে?
ভবিষ্যতে কী হবে, তা তো বলতে পারি না। তবে এখন খুব উপভোগ করছি।
টেস্ট ঠিক বাকী খেলাগুলোর চেয়ে কোথায় আলাদা?
হয় কী, লাল বলে প্রথম এক দুই স্পেল ভালো করে ফেলা যায়। তারপরই শুরু হয় আসল খেলা। বলতে পারে, দুই-তিন স্পেল পর থেকে মূল টেস্ট শুরু হয়। আপনার শরীর কতোটা নিতে পারে, আপনি কতোটা ফিট, কতোটা ফোকাস আছেন, ব্যাসিক কতটা ঠিক রাখতে পারছেন; এই পরীক্ষা দিতে হয়। এ জন্য মাঠের বাইরে কঠিন একটা প্রসেসের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। এটা আমি করার চেষ্টা করছি। কারণ, এই একটা ব্যাপারই আমার কন্ট্রোলে আছে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটো ইনিংসেই ৩০ ওভারের ওপর বল করতে হয়েছে। দেশের প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে তো এই সুযোগ মেলে না। তাহলে মানিয়ে নিচ্ছিলেন কী করে?
এটা মানিয়ে নেওয়া টাফ। কিন্তু আপনি যখন ওই সিচুয়েশনে পড়বেন, তখন আপনাকে আসলে মানিয়ে নিতেই হবে। এটাকে একটা যুদ্ধ হিসেবে ভাবি। যুদ্ধে তো পেছানোর সুযোগ নেই। আমি প্রতি ইনিংসে ভাবি, এখান থেকে আমার ফাইটব্যাক করতেই হবে। এটা ঠিক যে, এতো বেশী বল করার জন্য ফিটনেস বা অন্যান্য ব্যাপারে তৈরী থাকতে হয়। সেটা আমি আছি বলতে পারি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে আমরা যদি আরেকটু বেশী বল করার সুযোগ পাই, সেরকম পরিবেশ পাই, ডেফিনিটলি আমাদের জন্য ভালো হবে। কারণ, প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে বেশি বল না করে ভালো টেস্ট ক্রিকেট খেলাটা তো আসলে টাফ। কারন, বল করাটাও তো একটা হ্যাবিটের বিষয়। এটা তো হঠাৎ করে হয় না।
আপনি এখন তিন ফরম্যাটেই খেলছেন। এক ফরম্যাট থেকে আরেক ফরম্যাটে সুইচ করার শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতিটা কী আসলে?
তিন ফরম্যাটে কিছু পার্থক্য তো হয় কন্ডিশনে, উইকেটে। এখন সেগুলো তো আমাদের কন্ট্রোলে থাকে না। আমাদের কন্ট্রোলে থাকে নিজেদের প্রস্তুতির প্রসেসটা ঠিক রাখা। সেটা ঠিক রাখি। আর লাল বলে, সাদা বলে খেলার আগে ওই খেলার মত করে অনুশীলন করলে মানসিকভাবেই প্রস্তুতিটা চলে আসে। আমি আসলে নিজেকে সব ফরম্যাটে একটাই কথা বলতে চাই যে, আমি নিজের সেরাটা দিয়েছি। কখনো যেনো মনে না হয় যে, আমি সেরাটা দেইনি। তাতে আউটকাম যাই থাকুক, আমি সেরাটা দিয়ে যেতে চাই। আমি নিজেকে কোনোদিন ব্লেম দিতে চাই না। যেনো বলতে না হয়, আমি সেরাটা দিতে পারিনি।
গ্রেট বোলারদের বোলিং দেখেন ইউটিউবে?
অবশ্যই। এটা আমার প্রিয় কাজগুলোর একটা। অনেক সময় ধরে দেখি। এটা দেখতে খুব ভালো লাগে।
এসব বোলিং দেখে কারো মত হতে ইচ্ছে হয়? বা কাউকে অনুপ্রেরণা হিসেবে মনে হয়?
আমার আসলে অনুপ্রেরণার জন্য ইউটিউব দরকার হচ্ছে না। আমার লাইফের আইডল আর অনুপ্রেরণা হলেন মাশরাফি ভাই। ওনার জীবনের গল্পটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রেরণা। উনিও কিন্তু জীবনের বড় একটা সময় ইনজুরি আর নানা কারণে সেরা ফর্মে থাকা অবস্থায়ও মাঠের বাইরে কাটিয়েছেন। কিন্তু ফাইট ছাড়েননি। পরে ফিরে এসে শেষ চার-পাচ বছর ক্যারিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স করেছেন। আসলে এর চেয়ে ভালো অনুপ্রেরণা তো দরকার হয় না।
মাশরাফি প্রসঙ্গে আসতে চাচ্ছিলাম। আপনি আর্ন্তজিাতিক ক্রিকেটে আসার আগেই বলতেন, মাশরাফি আপনার আদর্শ। পরে তার সাথে জুটি বেঁধে বলও করেছেন। এখন তাকে কতটা মিস করেন?
ভাইয়াকে তো মিস করিই। তবে ভাইয়ার সাথে প্রায়ই কথা হয়। সুযোগ পেলে একটু দেখা করি। উনি তো এখন অনেক ব্যস্ত থাকেন। ফলে আমি অপেক্ষায় থাকি। সুযোগ পেলেই একটু দেখা করি, বোলিং নিয়ে কথা বলি। দিনশেষে উনি আমার এখনও হিরো। মানুষের কাছে হয়তো জাতীয় দলের তারকা। আমার কাছে এখনও উনি হিরো। আমি আর্ন্তজাতিক খেলার আগে থেকেই অনেক বড় ফ্যান।
সেই যে, প্রথম জাতীয় দলে এসে ভুল করে মাশরাফির চেয়ারে বসে পড়েছিলেন। গল্পটা মনে আছে?
মনে থাকবে না! সেটা ছিলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঘটনা। ভাইয়া দলেই ছিলেন। কী একটা কারণে আগে চলে গিয়েছিলেন; মনে হয় একটু ব্যাথা পেয়েছিলেন। আমি প্র্যাকটিস শেষ করে ড্রেসিংরুমে একটা ফাঁকা সিট দেখে বসে পড়লাম। কে যেনো বললেন, এই এটা কিন্তু মাশরাফির সিট। আমি উঠে দাড়িয়ে একটু হাত বুলিয়ে দেখেছিলাম। এখনও মিরপুরে খেলা হলে আমি চেষ্টা করি, ভাইয়ার সিটটাতে গিয়ে বসতে। এটা একটা ভালোবাসা বলতে পারেন।
এই সিরিজের কথায় আসি। আপনার ক্যারিয়ারের শুরু থেকে একটা ব্যাপার খুব নিয়মিত ঘটে-আপনার বলে ক্যাচ মিস। এই সিরিজেও সেটা অনেক হলো। আপনি এটাকে মেনে নেন কী করে?
আসলে ক্যাচ ড্রপ হওয়া বা না হওয়া তো আমার কন্ট্রোলে নেই। আমি তাই ক্যাচ মিস হলে খুব রিয়্যাক্টও করি না। কারণ, আমার একটা প্রতিক্রিয়ায় কারো যদি ভাবমূর্তি খারাপ হয়, সেটা তো ভালো না। কেউ তো ইচ্ছে করে ক্যাচ ছাড়ে না। শেষ পর্যন্ত এটা তো টিম গেম। আমার আচরণে টিমের ক্ষতি হলে সেটা তো বাজে ব্যাপার। আমার খারাপ লাগে। খারাপ লাগে না, তা না। বিশেষ করে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর রুমে যখন যাই, তখন মনে হয়, ক্যাচটা না পড়লে আরেকটা উইকেট হতে পারতো হয়তো। হয়তো দুইটা উইকেট বেশি হতো।
এই যেমন ৪ উইকেট পেলেন, ওটা ৫-৬ উইকেট হতে পারতো।
হইতে পারতো। আবার নাও হইতে পারতো। ওই চার উইকেটই হয়তো পেতাম না। এটা তো আসলে বলা যায় না। এটাই নিজেকে বলি। এভাবে নিজেরে স্বান্তনা দেই।
ম্যাচ শেষে ক্যাচ ফেলা ফিল্ডারের সাথে এ নিয়ে কথা বলেন?
না। আমি বিব্রত করতে চাই না। তবে ফিল্ডাররা আমাকে এসে স্যরি বলে। আমি ‘ইটস ওকে’ বলে দেই। কেউ তো ইচ্ছা করে ক্যাচ ফেলে না। আমি বলি, ‘নো প্রবলেম। কোনো এক ম্যাচে ভালো একটা ক্যাচ ধরে দিস। শোধবাদ হয়ে যাবে।’ (হাসি)
তাসকিন, সব ফরম্যাটেই আপনার বোলিংয়ে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এ জন্য আসলে কাকে কৃতিত্ব দেবেন?
একটা তো আপনারা জানেন যে, গত লক ডাউনের সময়টায় আমি অনেক কাজ করেছি। ফিটনেস নিয়ে, বোলিং স্কিল নিয়ে এবং মানসিক ব্যাপার নিয়ে। আমি এই সময় একজন মাইন্ড ট্রেনার, একজন ফিটনেস ট্রেনারের সাথে কাজ করেছি। এ ছাড়া সুজন স্যার (খালেদ মাহমুদ) ও জাকি স্যারের () সাথে অনেক কাজ করেছি। এনাদের চার জনের সাথেই আমি যোগাযোগ রেখে চলেছি। সিরিজগুলোর মাঝে মাঝে ওনাদের সাথে কথা বলি। আর আমাদের বোলিং কোচ ওটিস গিবসন আমাকে খুব হেল্প করছে।
গিবসনের কাছ থেকে কী বাড়তি কিছু পাচ্ছেন?
আসলে ব্যাসিক থিওরি তো সবার একই। সেটা বিদেশী কোচ বলেন, আর আমাদের লোকাল কোচ বলেন। সবাই একই জিনিস বলেন। তবে ওটিস বাড়তি আমার সাথে যেটা নিয়ে কাজ করছে, সেটা হলো আমার রিস্ট পজিশন। বোলিংয়ের সময় যেনো রিস্ট পজিশনের অ্যাকুরেসিটা ঠিক থাকে। এতে আমার বল কন্ট্রোল ও সুইং অনেক ভালো হচ্ছে।
আপনি হিথ স্ট্রিক, কোর্টনি ওয়ালশের সাথে কাজ করেছেন। তাদের সাথে গিবসনের পার্থক্য টের পান?
আসলে এনারা সবাই তো ভালো কোচ। তবে হ্যা, ওটিসের সাথে কাজ করাটা এনজয় করছি। ওর প্লানগুলো আমার জন্য খুব কাজে লাগছে।
আপনার গতি নিয়ে অনেক আগ্রহ আছে লোকেদের। এখন তো ১৪০ কিলোমিটারের ওপরে বল করছেন। ১৫০ কিলোমিটারের স্বপ্ন দেখেন?
অবশ্যই। আমার ইচ্ছা আছে, একদিন ১৫০ কিলোমিটারে বল করবো। সেটা সবসময়ই আমার ইচ্ছা ছিলো। আল্লাহ চাইলে একদিন করবো। তবে একটা জিনিস কী, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে শুধু গতি দিয়ে কোনো কাজ হয় না। আপনি ১৫০ কেনো, ১৫৫ কিলোমিটারেও বাজে জায়গায় বল করলে মেরে দেবে। এখন অফ সিজনে ছাড়া পেস বাড়ানো নিয়ে কাজ করা ডিফিকাল্ট। এই সিজনে আমাকে প্রসেসটা নিয়েই কাজ করে যেতে হবে। আবার বিরতি এলে গতি নিয়ে কাজ করা যাবে। ১৫০ কিলোমিটারে বল করার ইচ্ছা আমার আছে। তবে সেটা করতে গিয়ে এই ১৪০-এর লাইন লেন্থ হারাতে চাই না। এটা ঠিক রেখেই আমাকে গতি বাড়াতে হবে।
রিভার্স সুইং নিয়ে কী কোনো কাজ করছেন? আপনার পেসের সাথে রিভার্স করাতে পারলে দারুন হয়।
হ্যা। এটা নিয়েই কাজ করছি। শিখছি বলতে পারেন। কিছু হচ্ছে, কিছু হচ্ছে না। টাইম লাগবে। তবে কাজ করছি। আশা করি পারবো করতে।
আপনার সবচেয়ে পছন্দের বোলিং পার্টনার কে?
এভাবে স্পেসিফিক কারো নাম তো বলা ঠিক হবে না। তবে বাংলাদেশ দলের হয়ে যার সাথে যখন বোলিং করি, সেটা উপভোগ করি। দিনশেষে আমরা তো সবাই বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলি। অবশ্যই একটা জুটি করে বল করতে পারলে সেটা দলের জন্য খুব উপকারী হয়। দু জন দু পাশ থেকে ভালো বল করলে এক পাশ থেকে উইকেট পড়তে শুরু করবেই। এক পাশ থেকে ভালো বল করলে তো হবে না। আমরা চেষ্টাই করি পার্টনারশিপ করে বল করার।
আপনার একটা ইনজুরি প্রবনতা ছিলো। সেটা কমিয়ে আনার জন্য কী বিশেষ কিছু করছেন?
কিছু এক্সট্রা ট্রেনিং করছি। ফিটনেস বলেন, বোলিং বলেন। আগের চেয়ে ৫ মিনিট হলেও বেশি করি। সচেতন হওয়ার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি মাইন্ড ট্রেনিংয়ের হেল্প নিচ্ছি।
ব্যাটিং নিয়ে কোনো কিছু করেন? আজকাল লোয়ার অর্ডারেও একটু রান আশা করা হয়।
জ্বি, জ্বি। অবশ্যই এটা নিয়ে কাজ করছি। আমার কোচরাও বলেছেন, আমিও বুঝি যে, আমার ওখান থেকে ব্যাটে একটু সাপোর্ট দিতে পারলে ভালো হয়। গ্রেট গ্রেট বোলাররাও ব্যাটে কন্ট্রিবিউট করার চেষ্টা করেছেন। আমি কিন্তু খুব খারাপ ব্যাটসম্যান না (হাসি)। ঘরোয়া ক্রিকেটে আমি এক এন্ডে ব্যাটসম্যান থাকলে তাকে সাপোর্ট দিতে পারি। সেটাই করতে চাই। যেনো এক প্রান্তে ব্যাটসম্যান থাকলে আমার ওপর একটু ভরসা করতে পারে। আগের চেয়ে একটু ভালো হয়েছি। আরও ইম্প্রুভ করবো আশা করি।
শেষ প্রশ্ন। আপনি তো ফ্যাশন সচেতন মানুষ। আপনাকে লোকেরা ‘হিরো’ বলেও ডাকে। তো কোনো ডিরেক্টর বললে অভিনয়ের হিরো হবেন?
না, আপাতত এরকম কোনো ইচ্ছা নেই। আর আমার মনে হয়, আমার সাম্প্রতিক চেহারা দেখলে কোনো ডিরেক্টর এই প্রস্তাব দেবে না। আমার চেহারা একদম ভেঙে গেছে।
এটা কী শ্রীলঙ্কার ওয়েদারের জন্য?
না, না। ডায়েট করছি তো। সাথে হার্ড ট্রেনিং করলে মুখের চাপা… আসলে সেই কিউটনেস তো এতো কঠিন ট্রেনিং করলে থাকে না। ফলে চেহারা আর আগের মত নাই। তারপরও কোনো ডিরেক্টর প্রস্তাব দিতে চাইলে বলবো, ১০টা বছর অপেক্ষা করেন। মন দিয়ে এখন ক্রিকেট খেলি। তারপর এসব নিয়ে ভাববো।