বাংলাদেশের সাথে আগামী টি-টোয়েন্টি সিরিজে দেখা যেতে পারে ঈশান কিষাণকে। সম্প্রতি ঘরোয়া লিগগুলোতে তাঁর পারফরম্যান্স সন্তোষজনক। যা তাঁর জাতীয় দলে ফেরার গুঞ্জন-কে করেছে আরও জোরদার।
ঘরোয়া টুর্নামেন্ট জুড়ে ঈশান রয়েছেন দারুণ ছন্দে। বিশেষ করে লাল বলে। এই তো গত মাসেই বুচিবাবু প্রি সিজন টুর্নামেন্ট এ পেয়েছেন শত রানের দেখা। এই মাসের শুরুতেও সেই ছন্দ ধরে রেখছেন ২৬ বছর বয়সী এই উইকেট রক্ষক। যার তোরে পেয়েছেন দুলিপ ট্রফিতে শত রানের দেখা।
সেটাই তাঁর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফেরার সম্ভাবনা দাঁড় করায়। তবে বিসিসিআই-এর বর্তমান সিলেকশনে সেই সম্ভাবনায় কিছুটা ভাটা পড়ে। ছোট্ট করে জেনে রাখা ভাল উইন্ডিজের বিরুদ্ধে অভিষেকে অর্ধ-শতকের দেখা পান কিষাণ। তবে ইনজুরির ফলে বেশ কিছুদিন ছিলেন মাঠের বাইরে। সেই থেকে এই প্রথম লাল বলে খেলা তাঁর।
উইন্ডিজ সিরিজের পর ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তাঁকে প্রাথমিক দলে নেয়া হলেও, মানসিক স্বাস্থ্য-জনিত কারণে মাঠের বাইরে থাকতে হয় তাঁকে। এ সময়ে বিসিসিআই ম্যান্ডেট অনুযায়ী ঘরোয়া লিগ খেলার কথা ছিল তাঁর।
কিন্তু সে একেবারেই খেলা থেকে দূরে ছিলেন। সে কারণে কেন্দ্রিয় চুক্তি থেকেও তাঁকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়। সেই হিসেবে ঘরোয়া লিগে তাঁর ফিরে আসাটা বেশ জাঁকজমক ভাবেই হয়েছে। তাইতো নেট দুনিয়ায় শুরু হয়েছে গুঞ্জন। আবারও নীল জার্সি গায়ে উঠবে কিষাণের।
তবে এখানেও রয়েছে বাঁধা। সম্প্রতি ইরানী কাপে রেস্ট অব ইন্ডিয়া দলে ডাক পড়েছে তাঁর। যা তাঁর টি-টোয়েন্টি-তে ফিরে আসাকে করেছে অনিশ্চিত। তবে লাল বলের সাফল্যের বদৌলতে আগামী মাসে নিউজিল্যান্ড সিরিজে ডাক পাবার এক যোগ্য দাবীদার কিষান।
তবে এখনও আশা রয়েছে। কিষাণের ফিরে আশাটা এখন শুধুমাত্র রেস্ট অব ইন্ডিয়ার পরিচালকের হাতে। আরেক ভারতীয় উইকেট রক্ষক ব্যাটার ধ্রুব জুরেলকে যদি তাঁরা একাদশে নেয়, তবে সেখানে জাতীয় দলে জায়গা খালি হবে কিষাণের। সেক্ষেত্রে সানজু স্যামসনের পাশাপাশি দ্বিতীয় উইকেট রক্ষক ব্যাটার হিসেবে দেখা যেতে পারে কিষাণকে।