রিশাদের ঘূর্ণিতে ইসলামাবাদের স্বপ্নভঙ্গ

ছক্কা হজম করার ঠিক পরের বলেই উইকেট, আর ওখানেই স্বপ্নভঙ্গ ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের। পাকিস্তান সুপার লিগে যেন অপ্রতিরোধ্য রিশাদ হোসেন।

ছক্কা হজম করার ঠিক পরের বলেই উইকেট, আর ওখানেই স্বপ্নভঙ্গ ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের। পাকিস্তান সুপার লিগে যেন অপ্রতিরোধ্য রিশাদ হোসেন।

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের স্কোয়াডে বাংলাদেশের দুই নাম সাকিব এবং রিশাদ। জিতলেই ফাইনাল সমীকরণে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লাহোর কাপ্তান শাহীন শাহ আফ্রিদি। আর ব্যাটাররা দেন আস্থার প্রমাণ। মোহাম্মদ নাইমের ৫০ এবং কুসাল পেরেরার ৬১ রানে ভর করে ২০২ রানের সংগ্রহ পায় লাহোর। সাকিব সুযোগ পেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি এ ম্যাচেও। ২ বলে পাঁচ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন আরেক দেশি তারকা রিশাদ হোসেন।

জবাবে ব্যাট করতে ইসলামাবাদ প্রথম ধাক্কা খায় ১ রানের মাথায়। শাহীন আফ্রিদির প্রথম শিকার মোহাম্মদ শেহজাদ। পরের ছোবলটা দেন সালমান মির্জা। একে একে তুলে নেন তিন উইকেট। তবে এই বিপর্যয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন সালমান আলি আঘা এবং শাদাব খান।

এরপরের গল্পটা শুধুই রিশাদ হোসেনের। প্রথম ওভারটা ১৪ রান দিয়ে বেশ খরুচে করে ফেলেন রিশাদ। সালমান-শাদাব তখন আহত বাঘের মতো শেষ মরণকামড় দেওয়ার চেষ্টায় ছিল। আর তখনই লাগামটা টেনে ধরেন রিশাদ হোসেন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ৩৩ রান করা সালমান আলি আঘাকে ফিরিয়ে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন।

তবে এটা ছিল সবে শুরু, নিজের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে শাদাব খানের কাছে ছক্কা হজম করেন রিশাদ, আর ঠিক পরের বলেই তুলে নেন ইসলামাবাদের শেষ ভরসা টুকু। একই ওভারের চতুর্থ বলের মাথায় আবারও নিশামের কাছে ছক্কা হজম, তার ঠিক পরের বলেই তাকে তুলে নিয়ে ইসলামাবাদের আশার প্রদীপ নিভিয়ে দেন।

২০৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা ইসলামাবাদ অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১০৭ রানে। ৯৫ রানের বড় জয় নিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে সাকিব, রিশাদ, মিরাজদের লাহোর কালান্দার্স।

 

এবারের পিএসএলে নিজের সেরা সময় কাটিয়েছেন রিশাদ হোসেন। ৬ ম্যাচে ১২ উইকেট শিকার করেছেন, তিন ম্যাচে আবার নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট। লাহোরের শিবিরে যেন ট্রাম্প কার্ড বাংলাদেশি এই লেগ স্পিনার। এখন অপেক্ষাটা ফাইনালের বড় মঞ্চে আরেকবার ম্যাজিকাল রিশাদকে দেখার।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link