একপ্রান্তে যখন বৈভব ঝড় চলছে অন্যপ্রান্তে ঠিক ততটাই শান্ত হয়ে যশস্বী জয়সওয়াল করে গেছেন নিজের কাজটা। প্রপার টেকনিক, দৃঢ় মনোযোগ সবমিলিয়ে দারুণ এক সাপোর্টিভ ইনিংস খেলে দেখালেন নিজের সক্ষমতা।
শুরুর গল্পে পুরোটা সময় তাণ্ডব চালিয়েছেন গিল-বাটলাররা। গিলের ৮৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস সেই সাথে বাটলারের ঝড়ো ফিফটি এই ম্যাচে গুজরাটের অবস্থানটা শক্ত করে দিয়েছিলো। দারুণ ব্যাটিং পারফরম্যান্সে ভর করে গুজরাট শেষপর্যন্ত ২০৯ রানের বড় সংগ্রহ স্কোরবোর্ডে তোলে।
তবে আজকের দিনটা ছিলো রাজস্থান রয়্যালসের। দুই ওপেনার জয়সওয়াল এবং বৈভব যেন রীতিমতো ছেলেখেলা শুরু করে গুজরাটের বোলারদের নিয়ে। বৈভব সূর্যবংশীর ১৭ বলের অবিশ্বাস্য ফিফটি ম্যাচের মোমেন্টাম শুরুতেই এনে দেয় রাজস্থানের পক্ষে। এরপরের গল্পটা শুধুই বৈভবের। তুলে নেন আইপিএলে নিজের প্রথম রেকর্ড ব্রেকিং সেঞ্চুরি, বনে যান গল্পের নায়ক।
তবে পার্শ্বচরিত্রে থাকা জয়সওয়ালের কৃতিত্ব কম কিসে? বৈভবকে সাপোর্ট দেওয়া, স্ট্রাইক রোটেট করা, প্রয়োজনে শট খেলা একেবারে ক্রিকেট ব্যাকরণের আদর্শ ব্যাটিংটাই যেন করলেন জয়সওয়াল। তাঁর ৪০ বলে খেলা ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংসে ছিলো নয়টি চার এবং দু’টি ছয়, স্ট্রাইক রেটটাও ১৭৫।
সেঞ্চুরির পর বৈভব ফিরে গেলেও বাকী কাজটা ঠিকঠাক করে তবেই মাঠ ছাড়েন জয়সওয়াল, নিশ্চিত করে দলের জয়টা। ২১০ রানের বিশাল টার্গেট রাজস্থান অনায়াসে টপকে যায় ২৫ বল এবং আট উইকেট হাতে রেখেই।
বৈভবের রেকর্ড ব্রেকিং সেঞ্চুরিতে জয়সওয়ালের ইনিংসটা অনেকটা আড়ালে চলে গেলেও ম্যাচের সিনারিওতে এর গুরুত্বটা ছিলো অপরিসীম। জয়সওয়ালের ব্যাটিং দক্ষতা সবারই জানা, তবে এই ম্যাচের পর তার ব্যাটিং সেন্সটাও পরিষ্কার করে দিলো তিনি কত বড় মাপের প্লেয়ার।