বিশ্বকাপে নিজেদের গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে প্রায় বিদায় নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে প্রথম ম্যাচ হারার পর বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচও হারে লঙ্কানরা। এতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেও তা কাজে লাগাতে পারলেন না শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
১৮ মার্চ বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার তৃতীয় ওয়ানডে চলাকালীন আম্পায়েরের সিদ্ধান্তে দ্বিমত পোষণ করতে দেখা যায় হাসারাঙ্গাকে। ম্যাচটি শ্রীলঙ্কা হেরে গেলেও ঠিক পরের মুহূর্তে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া হাসরাঙ্গা বাংলাদেশের সাথে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের জন্য ফিরে আসার ঘোষণা দেয়। বিশ্বকাপে আগে এটিই ছিল শ্রীলঙ্কার শেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ।
পরবর্তীতে ম্যাচ চলাকালীন আম্পায়ারের প্রতি ভিন্ন মত দেখানোর জন্য হাসারাঙ্গাকে আইসিসি দ্বারা অভিযুক্ত করা হয় এবং তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট পান। গত ২৪ মাসে তার নামে ইতিমধ্যেই ৫ টি ডিমেরিট পয়েন্ট রয়েছিল।
ফলে আট ডিমেরিট পয়েন্ট চারটি সাসপেনশন পয়েন্টে রূপান্তরিত হয়। যখন একজন খেলোয়াড় চারটি সাসপেনশন পয়েন্ট পায়, তখন খেলোয়াড় দুইটি টেস্ট বা চারটি ওয়ানডে অথবা চারটি টি-টোয়েন্টি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।
তাই হাসারাঙ্গারও একই শাস্তি পেতে হত। যার ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ মিস করতে হত তাকে। তবে ইতিমধ্যে বুদ্ধিমানের মত টেস্টে ফেরার ফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুইটি টেস্টে না খেলার শাস্তি পায় হাসারাঙ্গা।
তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারলেও তা ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারেনি অধিনায়ক হাসারাঙ্গা। প্রথম দুইটি ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপে পরের রাউন্ডে যাওয়ার স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেছে তার।
ব্যাটে বলে তিনি ছিলেন নিজের ছায়া হয়েই। দুই ম্যাচেই শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে। লো স্কোরিং দুই ম্যাচে বল হাতে ৭.২ ওভার বল করে ৫২ রান বিলিয়েছেন হাসারাঙ্গা। তাই বলাই যায় তার পরিকল্পনা সফলভাবে ব্যার্থ হয়েছে।