তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম – চারজনের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের একদম প্রথম দিন থেকেই আমি দেখেছি। আমি খুব কনফিডেন্টলি বলতে পারি যে লিটন দাস, আফিফ হোসেন ধ্রব, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ-সহ মোটামুটি প্লেইং টাইম পাওয়া সব গুলো জুনিয়ার খুব ইজিলি তাদের এই ক্যারিয়ারের স্টেজে তামিম, রিয়াদ, মুশফিক যা ছিলো তার থেকে অনেক এগিয়ে গেছে।
এবং ভবিষ্যতে এরা আশানুরূপ ভাবেই আগের প্রজন্ম থেকে ভালো করবে।। সাকিব বাদে প্রথম ৫০ ওডিআই এর পর কারো অবস্থাই খুব একটা ভালো ছিলো তো না ই। বরং, মুশফিক-রিয়াদ যে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে সার্ভাইভ করে গেছে এটাই বড় বিস্ময়ের ব্যাপার।
প্রথম ৫০ ওডিআই ম্যাচের পর রিয়াদের রান ছিলো ৮৮৫। ২৯ গড় আর ৬৭ স্ট্রাইক রেট। অথচ আজকে যে আফিফ কে নিয়ে এত উত্তেজনা সে আফিফ ২৮ ওডিআই খেলার পর ৮৭ স্ট্রাইক রেটে ৫৬০ রান করে ফেলেছে। খারাপ কি?
মুশফিক এর প্রথম ৫০ ওডি আই এর পর ১৯ গড়ে আর ৫৬. স্ট্রাইক রেটে করেছিলো ৬৬৮ রান। তামিম করেছিলো ১৩০০ রান। ২৬ গড় আর ৭০ স্ট্রাইক রেট। সাকিব আল হাসান করেছিলো ১২৯৫ রান, ৩৪ এভারেজ৷ ৬৯ স্ট্রাইক রেট। সাথে ৫০ উইকেট।
এই জেনারেশনে এসে লিটন ৫০ ম্যাচ পর ৮৯ স্ট্রাইক রেট আর ৩৩ গড়ে ১৫০০ করেছিলো। মিরাজের ব্যাটিং আশানুরূপ না হলেও বোলার হিসেবে সে ৫৪ উইকেট নিয়েছে ৫০ ম্যাচের আগেই। আর ব্যাটিং এ এখন বেশ উন্নতি করেছে।
শান্তর শুরু খারাপ হলেও আস্তে আস্তে যেভাবে রিকভারি করছে তাতে ৫০ ইনিংস এর ভেতর সেও এদের সবাইকে ই ছাড়িয়ে যাবে। অথচ মিডিয়া এবং জনগন এমন আচারণ করে যে আগের প্লেয়াররা না খেললে ক্রিকেট অনাথ হয়ে যাবে।
যদিও গুটিকয়েক অর্ধশিক্ষিত ফ্যানদের দোষ দিয়ে লাভ নাই। তারা তাই। এখানে মিডিয়ারও দায় আছে। মিডিয়া যা দেয়, তাঁরাও সেটাই হজম করে। আর, দেশের ক্রিকেট দেখা জনগনের বড় অংশের ক্রিকেটে এক্সপোজার নাই।
ভালো ১০ টা ওডিআই দেখেনা, ভালো ১০ টা টেস্ট দেখেনা। এরা মনে করে ২০১৯ সালে নিদাহাসে দুইটা ছয় মারা ৪ বছর পর আরেক ফরম্যাটের জন্য যথেস্ট।
সমস্যা হলো প্লেয়ার গুলো খুব বাজে সিচুয়েশন পরে যায় এদের ক্যারিয়ার শুরু হওয়ার আগেই। যেটা তারা ডিজার্ভ করেনা। দেশের বড় মিডিয়া সিনিয়রদের যেমন সাপোর্ট করে, সেটা জুনিয়ররাও পেলে চিত্রটা ভিন্নরকম হত। আমি স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশ এদের হাত ধরে সফল হোক।