বন্ধু বাবরকে ফেরানো হয়নি কালিম সানার

বয়সভিত্তিক দলে থাকাকালীন সময়েই আলো কেড়েছিলেন বাবর আজম। সে সময় তাঁর বন্ধু ছিলেন পেসার কালিম সানা। সময়ের পরিক্রমায় দু’জনেই খেলছেন জাতীয় দলে তবে ভিন্ন দুই দেশের হয়ে।

বাবর এখন পাকিস্তানের অধিনায়ক, অন্যদিকে কালিম কানাডার পেস আক্রমণভাগের নেতা।ভাগ্যের নাটকীয়তায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছেন তাঁরা! শরীরে দু’টি ভিন্ন দেশের জার্সি।

কানাডা বনাম পাকিস্তান ম্যাচে অবশ্য বন্ধুর উইকেট পেতে চেয়েছিলেন কালিম; নতুন বলে বল করেন সেই সুবাদে শুরুতেই তাঁকে আউট করার সুপ্ত বাসনা ছিল তাঁর মনে। শুধু তাই নয়, রিজওয়ানকেও প্যাভিলিয়নে ফেরানোর স্বপ্ন ছিল এই পেসারের।

যদিও স্বপ্ন পূরণ হয়নি তাঁর, পাকিস্তানের দাপট দেখানোর দিনে কোন উইকেটই পাননি তিনি। তিন ওভার বল করে উল্টো খরচ করেছেন ২১ রান।

অন্যদিকে, রিজওয়ান তো আউট-ই হননি এদিন। সময়োপযোগী এক হাফ-সেঞ্চুরিতে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। তবে বাবর আজম থেমেছেন ডিলন হেইলিগারের বলে।

পর পর দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর কানাডার বিপক্ষে জেতাটা বড্ড জরুরি ছিল পাকিস্তানের জন্য। শুরুর স্পেলে কালিম সানা বিধ্বংসী পারফরম্যান্স উপহার দিলে হয়তো জেতা হত না তাঁদের।

তাই বলাই যায়, নিজের স্বপ্ন পূরণ না হলেও পরোক্ষভাবে বন্ধুর স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছেন তিনি। এই বাঁ-হাতি বোলারের জন্ম হয়েছিল পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে।

কি জানি, হয়তো রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেসের দেখেই পেসার হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছিলেন তিনি। জাতীয় দলে খেলার পথেও অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিলেন, বাবরের সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছিলেন একটা সময়। কিন্তু শেষমেশ আর পাকিস্তানের সবুজ জার্সিতে খেলা হয়ে ওঠেনি।

তবে সানার আক্ষেপ কিছুটা হলেও মিটেছে কানাডা জাতীয় দলের হয়ে। দলটির অন্যতম সেরা পারফর্মার তিনি; ১৯ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে পেয়েছেন ২৮ উইকেট, বোলিং গড় মাত্র ১৫ আর ইকোনমি ৬ ছুঁই ছুঁই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link