কামরান গুলাম, নিজের ভিত করছেন শক্ত

হুড়মুড় করে বালুর মহলের মত সব ভূলুণ্ঠিত হবে। তেমনই ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। একমাত্র কামরান গুলাম প্রতিরোধ গড়তে চাইলেন। কিন্তু তিনিও স্থায়ী হতে পারলেন না বেশিক্ষণ। 

পাকিস্তান দলটা বড্ড বেশি ‘আনপ্রেডিক্টেবল’। এই ভাল তো এই খারাপ। কোন ম্যাচে ব্যাটিং দাঁড়িয়ে রবে চীনের প্রাচীর হয়ে। কোনদিন আবার হুড়মুড় করে বালুর মহলের মত সব ভূলুণ্ঠিত হবে। তেমনই ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। একমাত্র কামরান গুলাম প্রতিরোধ গড়তে চাইলেন। কিন্তু তিনিও স্থায়ী হতে পারলেন না বেশিক্ষণ।

এই তো সেদিন টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হল তার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে প্রথমবার নেমেছিলেন বনেদী ফরম্যাটে। প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই করেছিলেন বাজিমাত। ১১৮ রানের একটা ঝকঝকে ইনিংস উপহার দেন ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটার।

এরপর অবশ্য দুই ইনিংসে ব্যাট করে বড় রান করতে পারেননি তিনি। ধারাবাহিকতা মানে এই নয় যে প্রতি ম্যাচেই শতক হাঁকানো। দুই ইনিংসে তিনি সুবিধা করতে পারেননি। তবে রান করতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য তার, সেটা বুঝিয়ে দিলেন প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে।

যদিও অর্ধশতকের পর বেশিদূর এগিয়ে যেতে পারেননি কামরান। ৫৪ রানেই থামতে হয়েছে তাকে। তবে ফরম্যাট ভেদে শেষ চার ইনিংসে এটি তার তৃতীয় পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস। এটিই বরং কামরানের পক্ষে সাফাই গাইছে। তিনি যেন বেশ পরিণত হয়ে টেস্ট দলের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন- তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৫৬ রানে ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান। সেখান থেকে দলের সংগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা করে গেছেন কামরান গুলাম। মোহাম্মদ রিজওয়ানের সাথে ৮১ রানের জুটি গড়েন তিনি। যে জুটির সিংহভাগ রানই এসেছে তার ব্যাট থেকে। প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেওয়া গেলেও, কাজের কাজ কিছু হয়নি।

৫৪ রান করা গুলাম প্যাভিলিয়নে ফেরা মাত্রই স্বল্প বিরতিতে দুইটি উইকেটের পতন ঘটে পাকিস্তানের। কামরান-রিজওয়ান জুটির দুই ব্যাটার সাজঘরে ফেরেন মাত্র পাঁচ রানের ব্যবধানে। তাতে করে স্বস্তি যতটুকু এনেছিলেন এই দুই ব্যাটার, তার পুরোটাই হয়েছে জল।

তবুও কামরানের ব্যাটে নিয়মিত রান পাকিস্তানের জন্য আশীর্বাদ। ধারাবাহিকভাবে বড় রান করা ব্যাটারের যে বড্ড অভাব। তাছাড়া ব্যাটিং অর্ডার এমন তাসের ঘর হওয়ার দিনে কামরান ভালভাবেই সামলে নিতে পারবেন- সে বার্তা অন্তত দল পেয়ে গেছে। তবে অপ্রত্যাশিত পাকিস্তানের কোন ব্যাটারের উপর অধিক প্রত্যাশাও তো হতাশার কারণ হয়েছে বহুবার।

 

Share via
Copy link