খালেদ আহমেদ, দ্য থ্রেটনিং পেসার

তাঁর মূল পরিচিতিটা লাল বলের পেসার হিসেবে। টাইগার জার্সি গায়ে কখনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা হয়নি। আবার স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা ক্যারিয়ার গ্রাফ তাতে টেনেটুনে গড়পড়তা স্বীকৃতি দেওয়া যায়। তবে এবারের বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই তাক লাগিয়ে দিলেন খালেদ আহমেদ। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে একাই নিলেন ৪ উইকেট।

৪৬ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ২০ রানে ৩ উইকেটই ছিল ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার। তবে, রংপুরের বিপক্ষে এ ম্যাচে ৩১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ছাপিয়ে গেলে সেই ফিগারকেও। রংপুরের ইনিংস যে ১৩৪ রানে আটকে গিয়েছে, তাতে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছিলেন তিনিই। তাঁর বোলিং তোপে এ দিন রীতিমত বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল রংপুরের টপ অর্ডার।

শুরুটা করেছিলেন রনি তালুকদারকে ফিরিয়ে। তবে এর এক বল বাদেই সাকিবকে সরাসরি বোল্ড। সর্বশেষ এক বছর যিনি এই ফরম্যাটে একবারও বোল্ড হন, সেই সাকিবকেই এই তিক্ত স্বাদ দিয়ে সাজঘরে ফিরিয়েছেন খালেদ। খালেদের ওই জোড়া শিকারেই ব্যাকফুটে পড়ে যায় রংপুর। থেমে যায় তাদের রানের গতি।

খালেদ এরপর তাঁর শেষ ওভারেও জোড়া উইকেট পেয়েছেন। শেষদিকে রংপুরের ইনিংস যখন একা হাতে সমুন্নত করার পথে ছিলেন শেখ মেহেদী, ঠিক তখনই বাঁধা হয়ে দাঁড়ান খালেদ। ইব্রাহিম জদরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এ অলরাউন্ডার।

খালেদের করা এর পরেই বলেই বল শূন্যে ভাসিয়ে ফিরে যান হাসান মাহমুদও। ব্যাস। রংপুর বড় সংগ্রহের স্বপ্ন থেমে যায় সেখানেই। ওই ওভারে মাত্র ৮ রান খালেদ। আর তাতে ১৩৪ রানে থেমে যায় রংপুরের ইনিংস।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link