রান বন্যার রোমাঞ্চে রিঙ্কুর শেষ চেষ্টা

টানা দুই চার ও এক ছক্কা হাকিয়েও রিঙ্কু দলকে ম্যাচ জেতাতে পারেননি। তবে ইডেন গার্ডেন দর্শকরা খানিক স্বস্তি নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। পয়সা উসুল একটা ম্যাচ দেখেছেন।

রান বন্যার ম্যাচ, টানটান উত্তেজনা। মাঝপথে খেই হারায় কলকাতার ব্যাটাররা। রিঙ্কুর সিংয়ের ব্যর্থ চেষ্টা। চার রানে ঘরের মাঠে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের হার। একটা ম্যাচে যতটুকু রোমাঞ্চ ছড়ানো সম্ভব, তার সবটুকুই ছিল লখনৌ সুপার জায়ান্টস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের মধ্যকার ম্যাচে।

প্রথম ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে বিশাল সংগ্রহ গড়ে লখনৌ। নিকোলাস পুরানের প্রায় আড়াইশ স্ট্রাইকরেটে অপরাজিত ৮৭। এর আগে মিচেল মার্শের ৮১। এই দুইয়ের মিশেলে ২৩৮ রানের পুঁজি পায় লখনৌ। বিশাল সংগ্রহ গড়ার পথে লখনৌয়ের আগ্রাসনের কোন উত্তর জানা ছিল না কলকাতার বোলারদের। তাইতো ব্যাটারদের উপর ছিল ভীষণ চাপ।

কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে কলকাতার শুরুটা হয়েছিল দারুণ। লখনৌয়ের বোলারদের বেলাইনে করা বলগুলো যেন বলে দিচ্ছিল চাপটা বরং তারাই নিয়েছে। তাছাড়া উইকেটের পেছন থেকে ঋষাভ পান্তের ভুল রিভিউ নেওয়াই বলে দিচ্ছিল যে, কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

সেই ভাঁজ ফেলে দেওয়ার অন্যতম কারিগর ছিলেন সুনীল নারিন আর কুইন্টন ডি কক। এরপর আজিঙ্কা রাহানে দৃশ্যপটে হাজির। ম্যাচটা তিনি জিততে চান- সে বার্তা স্পষ্ট করেছেন ব্যাটের আঘাতে। তার করা ৬১ রানের সঙ্গী ছিলেন ভেঙ্কেটেশ আইয়ার। তার ব্যাট থেকেও আসে ২৯ বলে ৪৫ রান।

তখন অবধি সবকিছু চলছিল ঠিকঠাক। দুই উইকেটে ১৬২ সংগ্রহ কলকাতার। কিন্তু এরপরই ঘটে ছন্দপতন। মুহূর্তের মধ্যেই পাঁচ উইকেটের পতন। ব্যবধান মাত্র ১৯ রানের। কিন্তু তবুও রাহানের বার্তায় অটল ছিলেন রিঙ্কু সিং। রিঙ্কুর ১৫ বলে ৩৮ রানের ইনিংসটি বাঁচিয়ে রেখেছিল কলকাতার জয়ের স্বপ্ন।

কিন্তু শেষবেলায় এসে হিসেব আর মেলেনি। টানা দুই চার ও এক ছক্কা হাকিয়েও রিঙ্কু দলকে ম্যাচ জেতাতে পারেননি। তবে ইডেন গার্ডেন দর্শকরা খানিক স্বস্তি নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। পয়সা উসুল একটা ম্যাচ দেখেছেন। এমন সব ম্যাচের জন্যেই তো প্রসিদ্ধ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। রান উৎসব হবে, রোমাঞ্চ হবে শেষকালে শ্বাসও আটকে যাবে- তবেই না খেলা উপভোগ্য হবে।

Share via
Copy link