সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছে। লোকেশ রাহুলের দিকে তাকিয়ে আছে সকলের দৃষ্টি। তিনি ফিরবেন, জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাতাবেন মাঠ। তিনি হয়ত ফিরবেন। তবে তার ফেরাটা আদোতে ভারতের জন্যে ফলপ্রসূ হবে কি-না সে প্রশ্ন তোলার সময় যে এসেই গেছে।
ইনজুরি থেকে ফিরেছেন লোকেশ রাহুল। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই দলে সুযোগ নিশ্চিতভাবেই চান তিনি। কিন্তু ২০২২ সালে ভারতের হয়ে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলা রাহুলকে দলে ঢুকতে হলে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। আর সেই প্রমাণের মঞ্চ প্রস্তুতই ছিল রাহুলের জন্যে। কিন্তু রাহুল নিজেই যেন প্রস্তুত নন।
এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে লখনৌ সুপার জায়ান্টস দলের অধিনায়কত্ব করছেন তিনি। এমনকি দলটির হয়ে ওপেনিংও করছেন তিনি। সমস্যাটা ঠিক সেখানেই। ওপেনিং পজিশনে নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না তিনি। রীতিমত ফ্লপ বলাই যায় তাঁকে। যদিও টুর্নামেন্ট কেবলই হয়েছে শুরু।
লোকেশ রাহুলের ধীরলয়ে খেলা ইনিংসগুলো প্রশ্নবিদ্ধ করছে তার সক্ষমতাকে। তেমনই এক ধীরলয়ের ইনিংস তিনি খেলে গেছেন দিল্লী ক্যাপিটালসের বিপক্ষে। ইনিংসের শুরুতে নেমে খেলেছেন ৩১ বল। রান করেছেন তাতে ৩৩। যে মুহূর্তে হাতখুলে খেলতে যাবেন, তখনই হয়েছেন আউট।
আর তাতে করে বিপাকে পড়েছেন লখনৌ। তাঁদের সংগ্রহ থমকে গেছে ১৬২ রানের আশেপাশে। যদিও এক্ষেত্রে উইকেটের দায় দিতেই পারে সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক। কিন্তু আইপিল যে রান উৎসব- সেখানে দাঁড়িয়ে এমন মন্থর গতির ইনিংস বেজায় দৃষ্টিকটু।
১০৬ এর একটু বেশি স্ট্রাইকরেটে এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। আধুনিক টি-টোয়েন্টি বিবেচনায় এই রান তোলার গতিকে ডিফেন্ড করবার দ্বিতীয় কোন উপায় নিশ্চয়ই থাকে না। সমস্যা হচ্ছে লোকেশ রাহুল এই মন্থর গতির ইনিংস যে এই আসরেই প্রথম খেলছেন তা নয়।
বিগত বেশ কিছু আসর ধরেই তার রান তোলার গতিতে পড়েছে ভাটা। শামুকের গতিতে রান তুলেই তিনি নিচ্ছেন তৃপ্তির ঢেকুর। আর অন্যদিকে ভারত জাতীয় দলের নির্বাচক ও সাধারণ দর্শকরা ভাসছেন হতাশায়। কেননা অভিজ্ঞ লোকেশকে দলের সাথে সংযুক্ত করতে পারলে হয়ত সফলতা এসে ধরা দিতো। কিন্তু তেমন ইচ্ছের বাস্তবায়ন যেন দূর আকাশের তারা।
গেল মৌসুমেও তিনি রান করেছেন ১১৪ স্ট্রাইকরেটের নিচে। সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে এবারের আসরে। লোকেশ রাহুলের ব্যাটের এই মন্থর ধারা অব্যাহত থাকলে বিপাকেই পড়তে হবে লখনৌ সুপার জায়ান্টসকে। অধিনায়কের বিলো এভারেজ পারফরমেন্স গোটা দলকেই তো নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।