ইয়াশ-ক্রুনালের বোলিং নৈপুণ্যে গুজরাটের পতন

এবারের গল্পটা যেন ভিন্ন, চলতি আইপিএলে নিজেকে নতুন করে চেনানোর পণ করেছেন ক্রুনাল। ইয়াশ ঠাকুরের সঙ্গে জুটি করে গুজরাট টাইটান্সকে প্রায় একাই হারিয়ে দিয়েছেন তিনি।

ভারতীয় ক্রিকেটে ক্রুনাল পান্ডিয়ার আগমন ঘটেছিল রবীন্দ্র জাদেজার ব্যাকআপ হিসেবে। এমনকি একটা সময় ভাবা হতো লোয়ার অর্ডারে অলরাউন্ডারের ভূমিকায় বোধহয় জাদেজার সঙ্গে লড়াই হবে তাঁর। কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেলো; তিনি পুরোপুরি হারিয়ে গেলেন। গত কয়েকটা বছর কোন খবরে পাওয়া যায়নি তাঁকে।

তবে এবারের গল্পটা যেন ভিন্ন, চলতি আইপিএলে নিজেকে নতুন করে চেনানোর পণ করেছেন এই বাঁ-হাতি। ইয়াশ ঠাকুরের সঙ্গে জুটি করে গুজরাট টাইটান্সকে প্রায় একাই হারিয়ে দিয়েছেন তিনি। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ক্রুনাল নিয়েছেন তিন উইকেট, সেজন্য তাঁকে খরচ করতে হয়েছে মোটে ১৩ রান। অন্যদিকে ইয়াশ পূর্ণ করেছেন নিজের ফাইফার।

এদিন নিজের প্রথম ওভারে কোন উইকেট না নিলেও কেবল দুই রান খরচ করেছিলেন লখনৌর অফ স্পিনার। এরপরের ওভারেই দেখান নিজের আসল জাদু, ইনফর্ম সাই সুদর্শনকে টপ স্পিনে বোকা বানান তিনি। কয়েক বল পরে আরো একবার উইকেট উদযাপনে মেতে উঠেন এই তারকা। এছাড়া শেষদিকে দর্শন নালকান্দেকে আউট করে দলের জয় ত্বরান্বিত করেছেন তিনি।

অন্যদিকে ডানহাতি পেসার পুরোদস্তুর বনে গিয়েছিলেন শিকারী। গুণে গুণে পাঁচ পাঁচজন ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে, শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়ানো রাহুল তেওয়াটিকে আউট করে পরাজয়ের সব সম্ভাবনা শেষ করে দিয়েছিলেন এই তরুণ। এর আগে শুভমান গিল, বিজয় শঙ্করদেরও ফিরিয়েছিলেন তিনি।

১৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গুজরাট অবশ্য ভাল শুরু পেয়েছিল দুই ওপেনারের ব্যাটে চড়ে। পাওয়ার প্লের শেষ বলে গিলের উইকেট হারানোর আগে ৫৪ রান বোর্ডে জমা হয়েছিল। কিন্তু অধিনায়ক ফিরে যেতেই ব্যাটিং ধ্বসের মুখোমুখি হয় দলটি। কেউ পারেননি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে, শেষদিকে তেওয়াটির ৩০ রানের ইনিংস কেবলই ব্যবধান কমিয়েছে।

এর আগে ব্যাট হাতে লখনৌকে পথ দেখিয়েছিলেন মার্কাস স্টয়নিস। ৪৩ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলার মধ্য দিয়ে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া আয়ুশ বাদোনীর ব্যাট থেকে এসেছিল ১১ বলে ২০ রান এবং নিকোলাস পুরান করেছেন আরো ৩২ রান।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...