অফ স্ট্যাম্পের বাইরের ডেলিভারি, খানিকটা সিম মুভমেন্ট আছে কিংবা নেই – এতটুকুই যথেষ্ট বিরাট কোহলিকে আউট করতে। একের পর এক ইনিংস চতুর্থ, পঞ্চম কিংবা আরো অনেক বাইরের বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে চলছেন তিনি। একই দৃশ্য দেখতে দেখতে যখন ক্লান্ত দর্শকের চোখ, তখন সিডনি টেস্টে আরো একবার এভাবেই প্যাভিলিয়নে ফেরার উপলক্ষ তৈরি করলেন এই ব্যাটার।
অজি বোলাররা জানতেন কি করতে হবে, তাঁরা সেটাই করে গিয়েছেন একটানা। তিনিও ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে গিয়েছেন, লাইন লেন্থ বুঝে বল ছেড়েছেন – কিন্তু শেষপর্যন্ত ধৈর্য ধরে থাকতে পারেননি। আর সেটাই তাঁর বিপদ ডেকে এনেছে।
অবশ্য স্কট বোল্যান্ড বল করলেই বিপদে পড়েন এই ডানহাতি। এ নিয়ে ছয় ইনিংসে তিনি বোল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছেন, খেলেছেন ৯৮টা বল। এর মধ্যে ৩২ রান আদায় করেছেন ঠিকই, কিন্তু আউট হয়েছেন চার চারবার। সবচেয়ে বেশি শঙ্কার ব্যাপার, চারবারই উইকেটরক্ষক কিংবা স্লিপের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বিরাটের পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে ঈর্ষণীয়, তবে চলতি সিরিজে তিনি হয়ে উঠেছেন হতাশার আরেক নাম। রান পাচ্ছেন না, অফ ফর্মে আছেন এসব মেনে নেয়া কঠিন কিছু সমর্থকদের জন্য; কিন্তু তাঁর মত সর্বকালের সেরাদের একজন একই রকমের ট্যাকটিক্সে বারবার আটকা পড়ছেন সেই দৃশ্য কিভাবে মানা যায়? চলতি সিরিজেই তো সাতবার এভাবে আউট হতে হয়েছে তাঁকে।
যদিও এই তারকা নিজের সাথে লড়াই করছেন, নিজের প্রিয় ‘ড্রাইভ’ খেলা বাদ দিয়ে ইনিংস বড় করতে চেয়েছেন। তিনি কতটা খোলসবন্দী ছিলেন সেটাও পরিসংখ্যানে স্পষ্ট, সিডনি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬৯ বল খেলে একটাও বাউন্ডারি মারেননি – টেস্ট ক্যারিয়ারে এটাই তাঁর বাউন্ডারি বিহীন দীর্ঘতম ইনিংস।
কিন্তু লম্বা সময় মনোযোগ ধরে রাখতে পারছেন না কোহলি, হুট করেই খোঁচা দিয়ে ফেলছেন বলে। এখন প্রশ্ন তাঁকে নিজের সাথে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেবে কি টিম ইন্ডিয়া? নাকি রোহিত শর্মার মতন তাঁকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চাইবে তাঁরা।