ইনিংসের ১৭ তম ওভারে তিন উইকেট শিকার কুলদ্বীপ যাদবের। মুহূর্তের মধ্যে পাকিস্তানের সব স্বপ্ন ধূলিসাৎ। কুলদ্বীপ এলেন ধ্বংসের বার্তাবাহক হয়ে। নিজের খারাপ দিনকে তিনি পালটে ফেললেন, পাকিস্তানের শুভ সূচনাকে করুণ সমাপ্তিতে রুপান্তরিত করলেন।
এশিয়া কাপের ফাইনালে শাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামানের ব্যাটে ভর দিয়ে দারুণ করে পাকিস্তান। বিনা উইকেটে ৮৪ রান স্কোরবোর্ডে তোলে পাকিস্তান। ফারহান ও ফখর এদিন ছিলেন দারুণ মুডে। কুলদ্বীপ হয়েছেন তাদের সেই দারুণ মুডের বলি। ইনিংসের সপ্তম ও নবম ওভারে বল করে ২৩ রান হজম করেন কুলদ্বীপ যাদব।
সবার ধারণা ছিল, ভারতের ম্যাচে ফেরার সমস্ত পথ ততক্ষণে অবরুদ্ধ। কিন্তু ভারতের ব্রহ্মাস্ত্র খানিকক্ষণের জন্যে হতে পারেন অকার্যর। কিন্তু দিনশেষে তিনিই বনে যান উইকেট শিকারি জাদুকর। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে প্রতিপক্ষের ভীতকে বারংবার তিনি নাড়িয়ে দিয়েছেন। ফাইনালের মঞ্চেও যার ব্যত্যয় ঘটেনি। নিজের তৃতীয় ওভারে কুলদ্বীপ এলেন বোলিং প্রান্তে। ১৩তম ওভারের ওভারে পঞ্চম বলে সাইম আইয়ুবকে আউট করেন তিনি।

পাকিস্তানের মিডল অর্ডার তখন বাইশ গজে হাজির। সালমান আলি আঘা, হুসেইন তালাত, মোহাম্মদ হারিসদের নিয়ে গড়া মিডল অর্ডার বড্ড বেশি অকার্যকর। এবারের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের মিডল অর্ডারে রান তেমন নেই বললেই চলে। ভারতের বোলিং আক্রমণের সামনে আরও একবার ব্যর্থ তারা প্রত্যেকে।
পাক অধিনায়ক সালমানকে তিনি ফেরালেন নিজের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে। এরপর মূলত পাকিস্তানের ফিনিশারদের হাত খোলার কথা। ফাহিম আশরাফ, শাহিন শাহ আফ্রিদিরা চালিয়ে খেলবেন। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাবেন। কিন্তু কুলদ্বীপ তেমনটি কেন হতে দেবেন?
শাহিনকে ফেরালেন সেই ওভারের চতুর্থ বলে। ঠিক এক বল পরেই ফাহিম আশরাফ কুলদ্বীপের শিকার। ওই ওভারে কুলদ্বীপ দিলেনর মোটে একটি রান, তাও ওয়াইড থেকে। বলে রাখা ভাল সেটি ছিল ইনিংসের ১৭ তম ওভার। ঠিক যে সময়টায় প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের হাতখুলে আক্রমণ করার কথা, সেই সময়ে কুলদ্বীপের ঘূর্ণিতে লণ্ডভণ্ড পাকিস্তানের লোয়ার মিডল অর্ডার।

শুধু তাই নয়, নুন্যতম রানের সেই ওভারটি পাকিস্তানকে আর বড় সংগ্রহ পেতে দেয়নি। ব্যাটিং অর্ডারের শেষটুকু তো কেবলই তাসের ঘর। বিনা উইকেটে ৮৪ রান করা পাকিস্তান শেষ অবধি অলআউট হয়েছে ১৪৬ রানে। যার কৃতীত্ব অবশ্যই বামহাতি ওই ইন্ডিয়ান চায়নাম্যানের প্রাপ্য।











