মাঝের ওভারে কুলদ্বীপ, ভারতের নির্ভরতার জায়গা

চার ওভারে স্রেফ ১৮ রান দিয়ে তিনটি উইকেট তুলে নিলেন কুলদ্বীপ যাদব। মাঝের ওভারে উইকেট শিকারি হিসেবে তিনি রয়েছেন বলেই ভারত থাকে নির্ভার। চাইলেই তারা প্রথম পাওয়ার প্লে-তে জাসপ্রিত বুমরাহর তিন ওভার করিয়ে ফেলতে পারে। শুরুতেই চাপ সৃষ্টি করার কাজটা তাকে দিয়ে করিয়ে নেন। এরপরের বাকি কাজটা নির্ভয়ে ছেড়ে দেন কুলদ্বীপের কাঁধে।

চার ওভারে স্রেফ ১৮ রান দিয়ে তিনটি উইকেট তুলে নিলেন কুলদ্বীপ যাদব। মাঝের ওভারে উইকেট শিকারি হিসেবে তিনি রয়েছেন বলেই ভারত থাকে নির্ভার। চাইলেই তারা প্রথম পাওয়ার প্লে-তে জাসপ্রিত বুমরাহর তিন ওভার করিয়ে ফেলতে পারে। শুরুতেই চাপ সৃষ্টি করার কাজটা তাকে দিয়ে করিয়ে নেন। এরপরের বাকি কাজটা নির্ভয়ে ছেড়ে দেন কুলদ্বীপের কাঁধে।

দুবাইয়ে রান তাড়া করা দলের জয়ের পাল্লা ভারি। এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশই ১৬৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করে জিতেছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। অতএব এই ম্যাচকে শেষ অবধি বাঁচিয়ে রাখার অপশন ছিল না সুরিয়াকুমার যাদবের সামনে। তাইতো তিনি শুরুতেই বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে চাইলেন।

আর প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের উপর চাপ প্রয়োগের ক্ষেত্রে জাসপ্রিত বুমরাহের বিকল্প গোটা বিশ্বে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে তাকে ব্যবহার করলে মাঝের ওভারে ম্যাচ হাত ছাড়া হলে, শেষের দিকে লাগাম টেনে ধরার কেউ থাকবে না। এমন ভাবনার সমাধান হিসেবেই ভারত দলে রয়েছেন কুলদ্বীপ যাদব।

তিনি মাঝের ওভারগুলোতে রানের ধারা শুকিয়ে দিতে পারেন- একা হাতে। আর শুধু তাই নয়। উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর আরোপিত চাপকে আরও ঘনিভুত করতে পারেন অনায়াসে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সে প্রমাণই তিনি আরও একটি বার রাখলেন। ভারতের মতই বাংলাদেশ ৭-১৬ ওভার, এই সময়কালে পাঁচটি উইকেট হারিয়েছে। এই সময়ে কুলদ্বীপ তিন ওভারে ১৫ রান খরচায় তুলে নেন একটি উইকেট।

পারভেজ হোসেন ইমন সুইপ শটকে এদিন রান তোলার প্রধান অস্ত্রে পরিণত করেছিলেন। আর সেই অস্ত্রকে নিরস্ত্র করেছেন কুলদ্বীপ। সাইফ হাসানের সাথে ইমনের করা ৪২ রানের পার্টনারশীপ ভাঙেন কুলদ্বীপ। এই ব্রেকথ্রু এনে দেওয়ার কাজেও দারুণ পটু বা-হাতি এই চায়নাম্যান।

এ ছাড়া ১৭ তম ওভারের পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে রীতিমত ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলেন কুলদ্বীপ। নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে তিনি বনে গেছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। এবারের এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত ১২টি উইকেট যুক্ত হয়েছে তার ঝুলিতে। দলের আস্থার প্রতিবিম্ব হতে পারাও তো সামর্থ্যের বহিঃপ্রকাশ।

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link