ওপেনিং ব্যাটারের তকমা নিয়ে পুরোদস্তুর বোলার কুশল ভুর্টেল

খেলোয়াড় হিসেবে তাঁর পরিচয়টা ওপেনিং ব্যাটার। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বল হাতে দেখালেন তাঁর ভেলকি। ক্যাচ মিস আর চার-ছক্কাতেও খেই হারাননি নেপালের কুশল ভুর্টেল। বরং বারবারই যেন নিজেকে রেখেছেন স্থির, সেই সাথে হানা দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার শিবিরে।

সেইন্ট ভিনসেন্টে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নেপালের দলপতি রোহিত পাউডেল। তাঁকে হতাশ করেননি নেপালের বোলাররা। তবে ওপেনিং ব্যাটারের তকমা নিয়েই কুশল তাঁর প্রথম উইকেটের দেখা পান ১২ তম ওভারে। সেটাও আবার এইডেন মার্করামের উইকেট। কুশল বল সোজা গিয়ে আঘাত হানে মার্করামের ষ্ট্যাম্পে।

তবে এই কুশলই তাঁর সতীর্থ অভীনেশ বোহারার বলে রেজা হেনরিক্সের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে অধিনায়ক আস্থা হারাননি, ঠিক এর পরেই তাঁর হাতেই আবার বল তুলে দেন রোহিত পাউডেল। আর সেই ওভারেই বাগিয়ে নেন উইকেট। এবার অবশ্য তাঁর শিকার হেনরিখ ক্লাসেন। তাঁর করা বল সোজা আকাশে ভাসিয়ে দেন ক্লাসেন। আর বল চলে যায় সতীর্থ কারাণের হাতে। সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেননি নেপালের এই ফিল্ডার।

নিজের তৃতীয় ওভারে তো ডেভিড মিলারকে সাজঘরে ফিরিয়েই দিয়েছিলেন। তবে আম্পায়ার্স কলের কল্যাণে সেই যাত্রায় বেঁচে যান মিলার। তবে শেষ ওভারেও অধিনায়কের আস্থা তাঁর উপর। উইকেট পাওয়ার ধারবাহিকতা বজায় রেখে ১৯ তম ওভারেও কুশল পান উইকেটের দেখা। এবার অবশ্য দুই-দুইটি উইকেট তুলে নেন তাঁর ঝুলিতে।

প্রথম বলেই হোঁচট খান তিনি। আর ওভারের পঞ্চম আর শেষ বলেই একে একে তুলে নিলেন দুটি উইকেট। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৯ রান দিয়ে শিকার করেন চারটি উইকেট। যেখানে তাঁর ইকোনমি রেট ছিল মাত্র ৪.৭৫-এ সীমাবদ্ধ। ২০ ওভার শেষে প্রোটিয়াদের মাত্র ১১৫ রানে আটকে দেয় নেপাল।

এবারের আসরে নেপালের খেলা দুই ম্যাচের মধ্যে একটিতে পরাজয়ের স্বাদ পায় তাঁরা, আর একটি ম্যাচ পন্ড হয় বৃষ্টিতে। তাই তাঁদের অবস্থান গ্রুপের চার নাম্বারে। সুপার এইটে খেলা নেপালের জন্য অনেকটা আকাশ চুম্বী কল্পনা। তবে কুশল ভুর্টেল ঠিকই রাঙিয়ে নিলেন তাঁর বিশ্বকাপ। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো অভিজ্ঞ দলের বিপক্ষে খেই না হারিয়ে, বরং তাঁদেরকেই ভড়কে দিলেন ২৭ বছর বয়সী নেপালের এই খেলোয়াড়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link