অনলি ইন দ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নাইট ক্যান ইউ ফিল ইট – কেবল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাত আপনাকে এমন অনুভূতি দিতে পারে। অ্যালেঞ্জ অ্যারেনায় ঠিক কি ঘটলো, কি ঘটলো চোখের পলকে; চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরতে পরতে যে রোমাঞ্চের ঘ্রাণ সেটাই বাস্তব হয়ে ধরা দিলো যেন। আলফান্সো ডেভিসের শেষ মুহূর্তের গোলে সেল্টিকের হৃদয় ভেঙে পরের রাউন্ডে উঠে আসলো বায়ার্ন মিউনিখ।
রাউন্ড অব সিক্সটিনের আগে প্লে-অফ রাউন্ড, প্রথম লেগে জিতে কাজটা সহজ করে রেখেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। কিন্তু সেল্টিক বড্ড একগুঁয়ে, ঘরের মাঠে হেরে গিয়েও তেজ কমেনি। তাই তো প্রতিপক্ষের ডেরায় এসেও কামব্যাকের স্বপ্ন বুনেছিল তাঁরা, সেই স্বপ্নের পালে হাওয়া লাগে ৬৩ মিনিটের সময়, নিকোলাস জেরিটের শট ম্যানুয়েল নয়্যারকে পরাস্ত করে আশ্রয় নেয় জালে।
দুই লেগ মিলিয়ে খেলা তখন সমতায়, এগুতে এগুতে ঘড়ির কাঁটা পেরিয়ে যায় নব্বই মিনিটের ঘর। অতিরিক্ত সময়ও তখন প্রায় শেষ, রেফারি এই বুঝি বাঁশি বাজিয়ে দিবেন। ঠিক তখনি লেখা হলো নাটকীয়তার চূড়ান্ত অধ্যায়।
লিওন গোরেৎজার হেডার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কাস্পার স্মাইকেল, কিন্তু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার আগেই হাজির রোড-রানার ডেভিস। একেবারে কাছ থেকে পায়ের টোকায় গোল করে বসেন তিনি, পুরো স্টেডিয়াম তখন উদযাপনে মাতাল। অন্যদিকে সেল্টিক একইসাথে বিস্মিত, হতভম্ব আর বিধ্বস্ত। এত কাছে এসেও এভাবে হৃদয় ভাঙার যন্ত্রণা পেতে হবে সেটা বোধহয় ভাবেনি তাঁরা।
পুরো ম্যাচ জুড়ে অবশ্য লড়াই হয়েছে একতরফা, স্বাগতিকদের ২৩টা শটের বিপরীতে সফরকারীদের শট মাত্র পাঁচটা। বল দখলেও দু’দলের ব্যবধান চোখে পড়ার মত – যদিও আধিপত্য দেখানো বায়ার্নের জন্য বেঁচে ফেরাটা সহজ ছিল না, একেবারে শেষ সময় পর্যন্ত লড়তে হয়েছে।
কিন্তু তাঁদের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে এসেছে হ্যারি কেইনের ইনজুরি। বিরতির সময় তাঁকে উঠিয়ে নিতে হয়েছিল। শেষ ষোলোতে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ বা বায়ান লেভারকুসেনকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে বাভারিয়ানরা, এর আগেই যেন কেইন মাঠে ফেরেন সেই প্রার্থনা করছে সমর্থকেরা।