নেতা শান্তর চিরচেনা রূপ!

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরে এলেন, শতক হাঁকালেন। মাঝের সময়টাতে ঘটে যাওয়া ঘটনা তাঁর ইস্পাত কঠিন মানসিকতার সঙ্গে পেরে ওঠেনি। বরং আরও বেশি ঝাঁঝালো হয়েছেন শান্ত, আরও বেশি দৃঢ়তা ফিরে পেয়েছেন ব্যাটে।

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরে এলেন, শতক হাঁকালেন। মাঝের সময়টাতে ঘটে যাওয়া ঘটনা তাঁর ইস্পাত কঠিন মানসিকতার সঙ্গে পেরে ওঠেনি। বরং আরও বেশি ঝাঁঝালো হয়েছেন শান্ত, আরও বেশি দৃঢ়তা ফিরে পেয়েছেন ব্যাটে। এক কথায় বলতে গেলে, ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট।

তৃতীয় দিনের সকালে পরপর উইকেট হারিয়ে কিছুটা ছন্দ হারায় বাংলাদেশ দল। তবে শান্ত দায়িত্ব নিয়ে লিড বড় করার মিশনে নামেন। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৭৯ রানের জুটি, এরপর লিটনের সঙ্গে মিলে স্কোরবোর্ডে আনেন আরও ৯৮ রান। এরপর নিজের মাইলফলক ছুঁলেন।

তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছে চিরচেনা সেলিব্রেশনে জানান দিলেন, এই মঞ্চটা তাঁর জন্য। সব উপেক্ষা, সমালোচনার জবাব দিয়ে সম্মান ফিরে পাওয়ার মঞ্চটা তো এই বাইশ গজই। বাইরে যা কিছু হোক, তাঁর কাজটা তো এখানেই। ১১৪ বলে ১০০ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে সেটাই করে গেলেন তিনি।

বরাবরই সাদা পোশাকে শান্ত সেরা নাম। বিশেষ করে নেতা হিসেবে তাঁর ব্যাট বেশি উজ্জ্বল। প্লেয়ার হিসেবে ৪৪ ইনিংসে যিনি ২৯.৮৪ গড়ে করেছেন ১২৮৩ রান, সেই শান্তই অধিনায়ক হিসেবে মাত্র ২৭ ইনিংসে পার করেছেন হাজার রানের মাইলফলক। ব্যাটিং গড়টাও ৪০-এর উপরে।

১২৯ দিন আগেই শ্রীলঙ্কায় অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন। মাঝের সময়টাতে আর কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। আইরিশদের বিপক্ষে মান-অভিমানের পালা চুকিয়ে আবারও ফিরেছেন নিজের দায়িত্বে। বোধহয় আরও কিছু জবাব দেওয়ার বাকি ছিল তাঁর। ফেরার দিনটা তাই শতক হাঁকিয়ে রঙিন করলেন তিনি।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link