ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াটওয়াশ করলেও বিবর্ণ ছিলো লিটন দাসের ব্যাট। তিন ম্যাচেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন এই ওপেনার। আগের সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচে ৩১১ রান করলেও এই সিরিজে করতে পেরেছেন মাত্র ৩৬ রান।
ওয়ানডেতে ওপেনিংয়ে খেললেও টেস্টে লিটন দাসের ভূমিকা অন্য রকম। সেই নতুন ভূমিকায় ভালো করার তাগিদও রয়েছে তাঁর। লিটন জানিয়েছেন দীর্ঘ দিন পর টেস্ট খেলতে নেমে অনেক খুশি তিনি।
তিনি বলেন, ‘অনেক দিন পর টেস্ট ক্রিকেট খেলছি এটাতে অনেক খুশি যে অনেক দিন পর শুরু হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট। টেস্ট ক্রিকেট তো টোটালি অন্য রকম একটা জিনিস। ফিলিংসই অন্য রকম দেশের হয়ে টেস্ট খেলার।’
ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও সেই ব্যর্থতা নিয়ে চিন্তা না করে বরং টেস্টে সফল হওয়ার চেস্টা করবেন লিটন দাস। জানিয়েছেন আলাদা ফরম্যাটে নিজের দায়িত্ব পালন করতে সর্বোচ্চটা দিবেন তিনি।
লিটন বলেন, ‘ওয়ানডে আমি ভালো করতে পারিনি, এটা সম্পূর্ণ আলাদা ফরম্যাট। আমি চাচ্ছি না সেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে বা রিকল করতে। এখানে আমার নতুন রোল, চেষ্টা করব এখানে যে রোলটা সেটা ভালো করে প্লে করার জন্য।’
বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলো গত বছর ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এরপর করোনা বিপর্যয়ে বাংলাদেশের সব সিরিজ স্থগিত হয়ে যায়। লিটন জানিয়েছেন দীর্ঘ দিন পর ফিরলেও খুব একটা সমস্য হবে না। বরং ওয়ানডে সিরিজ শেষে এই বিরতিতে অনুশীলন করে ভালো করার জন্য মুখিয়ে আছে সবাই।
লিটন বলেন, ‘আমার কাছে তো অনেক ভালো মনে হচ্ছে। কারণ ওয়ানডের পর ৭-৮ দিনের একটা গ্যাপের মধ্যে আছি। যেখানে আমরা অনুশীলন করার চেষ্টা করছি। নিজের সর্বোচ্চ দেওয়ার কারণ অনেক দিন পর লাল বলের খেলা। আমরা সবাই আগ্রহী ভালো ক্রিকেট খেলার জন্য এবং যথেষ্ট পরিমাণ ক্ষুধা আছে প্রত্যেকটা প্লেয়ারের মধ্যে, অনেক দিন পর ক্রিকেট খেলবে। সো হোপফুলি ভালো কিছু হবে।’
অনভিজ্ঞ দল নিয়ে ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হোয়াটওয়াশ হলেও তাদের টেস্ট স্কোয়াডে রয়েছে কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। টেস্টে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে ক্যারিবিয়ানদের পেস অ্যাটাক। তাই লিটন মনে করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিততে সেরা খেলাটাই খেলতে হবে তাদের।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে যেটা মনে হয় টেস্টে ক্রিকেটে অনেক দিন পর খেলতে নামছি আমরা। অবশ্যই কঠিন হবে। ওদের খুব ভালো পেস অ্যাটাক আছে এবং স্পিনও আছে। সিচুয়েশনটা ডিপেন্ড করবে অনেক কিছুর ওপরে। আমার কাছে যে জিনিসগুলো মনে হয় আমাদের বেটার ক্রিকেট খেলতে হবে।’
ভালো ক্রিকেট খেলার মন্ত্রও জানা আছে লিটনের। লিটন জানিয়েছেন টেস্টের বিভিন্ন পরিস্তিতি গুলো ভালো ভাবে সামলাতে হবে তাদের। লিটন বলেন, ‘ভালো পারফরম্যান্স করার জন্য অনেক সময় উইকেটে ব্যয় করতে হবে। প্লাস সিচুয়েশনগুলোও আমাদের হ্যান্ডেল করতে হবে। সেটা বোলিং পাই, ব্যাটিং পাই, বড় বড় পার্টনারশিপ, বোলিংয়ে পার্টনারশিপ, ব্যাটিংয়ে পার্টনারশিপ হলে জিনিসগুলো আমাদের পক্ষে আসবে।’