লিটনের জুয়ায় বাংলাদেশের বাজিমাত!

লিটন দাস একটা জুয়া খেলেছিলেন, ১৯তম ওভারে রিশাদকে বল হাতে তুলে দিয়ে। এই সিদ্ধান্তই হতে পারতো পাকিস্তানের জয়ের টার্নিং পয়েন্ট। তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় জয় পেয়েছে বাংলাদেশই। লিটনের এমন সিদ্ধান্তকে দোষারোপ করার উপায় নেই, বরং এটা তার পজিটিভ মেন্টালিটির একটা উদাহরণ।

লিটন দাস একটা জুয়া খেলেছিলেন, ১৯তম ওভারে রিশাদকে বল হাতে তুলে দিয়ে। এই সিদ্ধান্তই হতে পারতো পাকিস্তানের জয়ের টার্নিং পয়েন্ট। তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় জয় পেয়েছে বাংলাদেশই। লিটনের এমন সিদ্ধান্তকে দোষারোপ করার উপায় নেই, বরং এটা তার পজিটিভ মেন্টালিটির একটা উদাহরণ।

১৯তম ওভারে স্বাভাবিকভাবে মুস্তাফিজের বোলিং করার কথা। কিন্তু ১০ম ব্যাটার ডানিয়েলকে স্ট্রাইকে দেখে রিশাদের উপর বাজি ধরলেন লিটন। প্ল্যান খুব সিম্পল, ডানিয়েলকে দিয়ে ২-৩টা বল খেলিয়ে দিতে পারলে, ফাহিম আশরাফ মারার জন্য খুব বেশি বল পাবেন না। লাস্ট ওভারে রিশাদ করলে যেটা পেতে পারতেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত রিশাদ সেটা ডেলিভার করতে পারেননি। ডানিয়েল বল খেলেছেন চারটা, কিন্তু রান বের হয়ে এসেছে ৯।

এরপরেও বাংলাদেশের জয়ে ফাহিমের হিসাবের ভুলের বড় অবদান আছে। রিশাদের শেষ বলে, ৬ মারতে যাওয়াটা একটা ভুল ছিল, শেষ বলে নিজের উইকেট হারিয়ে যার খেসারত দিতে হয়েছে।

 

ফাহিম যদি সফল হতেনও, শেষ ওভারে ১০ম ব্যাটারকে মুস্তাফিজের সামনে ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা দ্বিতীয়বার করা উচিত ছিলো। স্লো উইকেট, পুরোনো বলে ফিজের সামনে টেইলএন্ডার ব্যাটার, ফাহিমের স্ট্রাইকে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল খুবই কম।

বরং রিশাদের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে, মুস্তাফিজের ৬ বলই খেলার পরিকল্পনা করা উচিত ছিলো তাঁর। ফাহিমের এই ভুলটাই শেষ পর্যন্ত সাপে বর হয়েছে বাংলাদেশের জন্য। লিটন দাস বোধহয় একপ্রকার হাঁপ ছেড়েই বেঁচে গিয়েছেন। নইলে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হওয়াটা ছিল সময়ের অপেক্ষা। তবে এটা ছাড়া তাঁর কিইবা করার ছিল!

লিটনের ক্যাপ্টেন্সির একটা বিশেষ দিক পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া। বুলি আউড়ানো মুখস্থ ক্যাপ্টেন্সি তিনি করেন না। এই ম্যাচেও শুরু থেকেই অলআউট অ্যাটাকে গেছে পেসাররা। তাই তো শেষের জন্য শরিফুল-সাকিবদের ওভার ছিল না।

 

পরবর্তীতে লিটন দাস অবশ্য পোস্ট-ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে বলেছেন ১২ ওভারের পর তাদের পরিকল্পনা বদলাতে হয়েছে। কোনো উপায়ন্তর না পেয়েই রিশাদের উপর শেষ দিকে ভরসা রাখতে হয়েছে। শুধু এই ম্যাচ নয়, প্রথম ম্যাচেও লিটন শেষ দিকে রিশাদকে ব্যবহার করেছেন। স্পিনাররা ডেথ ওভারের জন্য বিপদজনক, তাই তো লিটনের এটা মাথায় রেখেই পরবর্তীতে পরিকল্পনা সাজানো উচিত।

দিনশেষে বাংলাদেশের জয় স্বস্তি দিয়েছে, লিটন দাসও একপ্রকার বাজি জিতেছেন। এমন সিদ্ধান্তগুলো হারা ম্যাচ জিতিয়ে দিতে পারে, আবার জেতা ম্যাচও হারিয়ে দিতে পারে। তবে ভাগ্যক্রমেই জয়টা এসেছে বাংলাদেশের পক্ষেই।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link