এবার তবে লিভারপুল হয়ে উঠবে অতিমানবীয়!

এই জয়ে টেবিলের আপাতত শীর্ষে উঠে এসেছে তাঁরা, ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান বারো পয়েন্ট এখন তাঁদের। তবে ম্যানসিটি পরের ম্যাচে অন্তত এক পয়েন্ট পেলেই শীর্ষস্থান পুনরায় দখলে নিবে পেপ গার্দিওলার বাহিনী।

খেলার মাত্র দুই মিনিট, অ্যান্টনি সেমনো ততক্ষণে জালের দেখা পেয়ে গিয়েছেন। আগের ম্যাচে নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিপক্ষে হেরে যাওয়া লিভারপুলের আত্মবিশ্বাস তখন আরও তলানিতে ঠেকেছে। তবে ত্রাতা হয়ে এলেন রেফারি, রিপ্লে দেখে সেমেনোর গোল বাতিলের সিদ্ধান্ত জানান। অফসাইডের সুবাদে স্বস্তি খুঁজে পায় তাঁরা।

সেই সাথে হারানো মনোবলও ফিরে এসেছিল বটে, তাই তো পরের সময়টা কেবল লাল রঙয়ের একক আধিপত্য চোখে পড়েছে। যদিও আকাঙ্ক্ষিত গোল আসছিল না, তবে সাহায্য করেন বোর্নমাউথের গোলরক্ষক কেপা নিজেই। ইব্রাহিমা কোনাতের লফটেড পাসের জবাবে লাইন ছেড়ে বেরিয়ে আসেন, কিন্তু তার আগেই লুইস দিয়াজ বলের দখল নিয়ে নেন। এরপর বাকি কাজটা দিয়াজ করেন একেবারে ঠান্ডা মাথায়।

এক মিনিট পরে আবারও স্কোরবোর্ডে নাম তোলেন তিনি, ট্রেন্ট অ্যালেক্সান্ডার আর্নল্ডের বুদ্ধিদীপ্ত পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেন। অলরেডরা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে গিয়েছিল তখনই।

তবে জয়-পরাজয়ের বাইরে গিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করার দায়িত্ব নিয়েছেন ডারউইন নুনেজ। মোহামেদ সালাহর কাছ থেকে বল নিয়ে বাম পায়ে বাঁকানো শটে তিনি পরাস্ত করেন কেপাকে – উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারের এমন গোল অনেকদিন মনে রাখবেন সমর্থকেরা।

ম্যাচের বাকি অংশে আর গোল হয়নি বটে, তবে চেষ্টার কোন কমতি রাখেনি স্বাগতিকরা। একের পর এক আক্রমণ চালিয়েছে প্রতিপক্ষ শিবিরে, কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে আক্রমণ। ৭১ মিনিটের সময় তো দুইবার গোল লাইন থেকে দলকে রক্ষা করেছিলেন বোর্নমাউথের ডিফেন্ডাররা। শেষ পর্যন্ত তাই ৩-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে আর্নে স্লটের শীর্ষদের।

এই জয়ে টেবিলের আপাতত শীর্ষে উঠে এসেছে তাঁরা, ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান বারো পয়েন্ট এখন তাঁদের। তবে ম্যানসিটি পরের ম্যাচে অন্তত এক পয়েন্ট পেলেই শীর্ষস্থান পুনরায় দখলে নিবে পেপ গার্দিওলার বাহিনী।

Share via
Copy link