লিভারপুল জিতলো, তবে প্রশ্ন রয়ে গেলো

প্লাইমাউথের বিপক্ষে এফএ কাপে অবিশ্বাস্য পরাজয়, এভারটনের বিপক্ষে জিততে জিততেও জেতা হলো না - লিভারপুল সমর্থকদের মন নির্ঘাত শঙ্কায় ভরে গিয়েছিল, লিগ টেবিলে পিছিয়ে পড়ার ভয় ঢুকে গিয়েছিল। সেই ভয় আরো স্থায়ী হতে পারতো, ৮৮ মিনিটের সময় উলভসের একেবারে নিশ্চিত গোল ব্লক করে ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন কুয়ানসাহ।

প্লাইমাউথের বিপক্ষে এফএ কাপে অবিশ্বাস্য পরাজয়, এভারটনের বিপক্ষে জিততে জিততেও জেতা হলো না – লিভারপুল সমর্থকদের মন নির্ঘাত শঙ্কায় ভরে গিয়েছিল, লিগ টেবিলে পিছিয়ে পড়ার ভয় ঢুকে গিয়েছিল। সেই ভয় আরো স্থায়ী হতে পারতো, ৮৮ মিনিটের সময় উলভসের একেবারে নিশ্চিত গোল ব্লক করে ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন কুয়ানসাহ।

শেষমেশ অবশ্য স্বস্তির বৃষ্টি আসলো জয়; লুইস দিয়াজের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স আর মোহামেদ সালাহর গোল পূর্ণ তিন পয়েন্ট এনে দিয়েছে তাঁদের। যদিও স্বস্তির নিঃশ্বাস কেবল সমর্থকদের জন্য নয়, দিয়াজের জন্যও বটে। উলভসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে দশ ম্যাচ গোলশূন্য ছিলেন তিনি, ২০২৫ সালে কোন গোলই করেননি। মাথার উপর আকাশসম চাপ নিয়েই তাই খেলতে হয়েছিল তাঁকে, যদিও সেই চাপ তাঁর সেরাটা বের করে এনেছে।

ম্যাচের মাত্র পনেরো মিনিটের মাথায় গোল পেয়েছেন এই কলম্বিয়ান, মিনিট বিশেক পরে তিনিই আবার আদায় করে নিয়েছিলেন পেনাল্টি। বলতে গেলে পুরো প্রথমার্ধে সফরকারীদের নাচিয়ে ছেড়েছেন তিনি, বুঝিয়ে দিয়েছেন অ্যানফিল্ডের ঝাঁঝ।

যদিও দ্বিতীয়ার্ধে বদলে গিয়েছিল খেলার ধরন; বিরতিতে কি যেন হয়েছে, উলভস পুরোপুরি বদলে ফেলেছিল নিজেদের। একের পর এক আক্রমণে তাঁরা পরীক্ষা নিতে শুরু করে অলরেড রক্ষণভাগের।

উল্টো দিকে সালাহ তখন নিষ্প্রাণ, বিরতির পরে লিভারপুল আসলে একটা শটও নিতে পারেনি প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকের দিকে। স্বাগতিকদের ভয় আরো বাড়িয়ে তুলেছিলেন ম্যাথিউস কুনহা, দুর্ধর্ষ এক গোলে নেকড়ে দের ম্যাচে ফেরান তিনি।

শেষমেশ কোন অঘটন ঘটেনি, লিভারপুল বাড়ি ফিরেছে হাসিমুখেই। কিন্তু প্রশ্ন থেকে গেলো, ২০০৩/০৪ মৌসুমের পর এই প্রথম দ্বিতীয়ার্ধে একটা শটও নিতে পারলো না দলটা। এভাবে হুট করে মোমেন্টাম হারালে বড় ম্যাচে বিশাল মাশুল দিতে হবে আর্নে স্লটের শিষ্যদের।

Share via
Copy link