রানিং অ্যাওয়ে উইথ দ্য ট্রফি – সত্যিই তো। লিভারপুল আসলেই শিরোপার দিকে তর তর করে এগিয়ে যাচ্ছে। যেন বাঁধার দেয় কেউ নেই, যেন চ্যালেঞ্জ জানানোর কেউ নেই। আর্নে স্লট শিষ্যদের সেভাবেই গড়ে তুলেছেন, সামনে যাই আসবে সেটাই যেন চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয়। মাঠেও তাই ঘটেছে, দলটার সামনে টিকতে পারছে না কেউই।
ম্যানচেস্টার সিটির বর্তমান ফর্ম জানার পর তাঁরা লিভারপুলকে আটকাবে সেই আশা করাটাই ভুল। তবু বহুদিনের অভ্যাসবশত কেউ কেউ হয়তো আশা করেছিলেন, কিন্তু সেই আশায় ছাই ঢেলে দিয়েছেন মোহামেদ সালাহ। তিনিই তো দিবেন; ওই লাল জার্সি গায়ে একজনই তো সর্বেসর্বা, অ্যানফিল্ডের মুকুটহীন সম্রাট।
ধারাবাহিকতার সংজ্ঞা বদলে দিয়েছেন এই তারকা, তিনি মানব না অতিমানব এমন প্রশ্নও আজকাল ফুটবলীয় আলোচনায় শোনা যাচ্ছে। ম্যানসিটির বিপক্ষেও ব্যতিক্রম হয়নি; গোল করেছেন, অ্যাসিস্ট করেছেন, দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন মাথা উঁচু করে।
শুরুটা ১৪ মিনিটের সময়, ট্রেনিং সেশনের স্টাইলে ম্যাক অ্যালিস্টারের শর্ট কর্নার ডমিনিক সোবোসলাই পৌঁছে দেন এই রাইট উইঙ্গারের পায়ে। তাঁর ঠান্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে এগিয়ে যায় লিভারপুল। মিনিট বিশেক পরে বোধহয় ঋণ পরিশোধ করলেন তিনি; এবার সোবোসলাইয়ের গোলে অ্যাসিস্ট করলেন নিজেই। শেষপর্যন্ত ২-০ গোলেই জিতলো অলরেডরা, পারফেক্ট পারফরম্যান্সে স্বাগতিকদের একতরফা হারের স্বাদ দিলো তাঁরা।
চলতি প্রিমিয়ার লিগে সালাহ গোল এবং অ্যাসিস্ট দুটোই করেছেন এমন ম্যাচের সংখ্যা এগারো। সেরা পাঁচ লিগে এর আগে লিওনেল ২০১৪/১৫ মৌসুমে এমন কীর্তি গড়েছিলেন, তাঁর ক্ষেত্রেও সংখ্যাটা এগারো। সালাহর তাই সুযোগ আছে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।
যদিও রেকর্ড কিংবা অন্য কোন ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে মিশরীয় তারকার বেশি মনোযোগ শিরোপার দিকে। কোন অঘটন ঘটিয়ে সেটা হাতছাড়া করতে চাইবেন না তিনি, চাইবেন না এতদূর এসে শূন্য পকেটে ফিরে যেতে।