ম্যাচের তখন মাত্র ১৬ মিনিট, আন্দ্রেস পেরেইরার লং পাস দখলে নিয়েই ফেলেছিলেন অ্যান্ড্রু রবার্টসন কিন্তু এরপরই তালগোল পাকিয়ে ফেলেন তিনি। সেই সুযোগে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যান উইলসন, বাধ্য হয়ে তাঁকে ফাউল করে বসেনন রবার্টসন আর তখনি সরাসরি লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠের বাইরে যাওয়ার নির্দেশ দেন রেফারি।
এর মিনিট পাঁচেক আগেই পেরেইরা গোল আদায় করে নিয়েছিলেন। রবিনসনের ক্রস থেকে অ্যাক্রোবেটিক এক ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন এই ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার।
সবমিলিয়ে পাহাড়সম চাপ তখন জমা হয়েছিল লিভারপুলের ওপরে, এক গোলে পিছিয়ে দশজন নিয়ে খেলা কতটা চাপের সেটা আসলে বলে বোঝানোর অপেক্ষা রাখে না। তবু তাঁরা দমে গিয়েছে, ভেঙে পড়েছে এমনটা বলা যাবে না। বরং নিজেদের কৌশল পাল্টে লড়াই চালিয়ে গিয়েছে। সেটারই ফসল হিসেবে আসে সমতাসূচক গোল।
বিরতি থেকে ফিরেই মোহামেদ সালাহর ক্রস থেকে গোল করেন কডি গ্যাকপো। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে অলরেড জার্সিতে মিশরীয় তারকার এটা শততম অ্যাসিস্ট।
অবশ্য ফুলহ্যাম জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল ৭৬ মিনিটের মাথায়, সেসময় সতীর্থকে আরো একবার গোল করার সুযোগ করে দেন রবিনসন। তাঁর পাস থেকে দলকে এগিয়ে দেন মুনিজ – যদিও শেষমেশ লাভ হয়নি, সুপার সাব দিয়েগো জোতা রক্ষা করেন অলরেডদের৷
২০২০ সালে ক্লাবে যোগ দেয়ার পর থেকে বদলি হিসেনে নেমে আট গোল করেছেন জোতা। এই সময়ে বদলি হিসেবে তাঁর চেয়ে বেশি গোল করেননি লিভারপুলের আর কেউই।
পর্তুগিজ উইঙ্গারের গোলেই শেষপর্যন্ত এক পয়েন্ট পেয়েছে আর্নে স্লটের শিষ্যরা। যদিও টেবিলের দুই নম্বরে থাকা চেলসির সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধানে কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচে। তবে চেলসির হাতে একটা ম্যাচ আছে, সেটা জিতলে ব্যবধান স্রেফ দুই পয়েন্টের!