লোকেশ রাহুল নয়, ঈশান কিষাণকে ভারতের বিশ্বকাপ একাদশে দেখতে চান সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর। তাঁর মতে, নির্বাচক এখনো লোকেশ রাহুলকে নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে। আর সেই দ্বিধাদ্বন্দ্বের মাঝে যদি টিম ম্যানেজমেন্ট ঈশান কিষাণকে বাদ দিয়ে লোকেশ রাহুলকে একাদশে নিয়ে খেলতে নামিয়ে তাহলে ভারত মস্ত বড় ভুল করবে।
এর আগে স্টার স্পোর্টসের এক অনুষ্ঠানে গৌতম গম্ভীর এ ব্যাপারে বলেছিলেন, ‘একটা চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে কী দরকার? নাম নাকি ফর্ম? যদি রোহিত অথবা বিরাট টানা চারটি ফিফটি করে, তাহলেও কি মানুষ বলবে ওদের পরিবর্তে লোকেশ রাহুলকে নেওয়া প্রয়োজন? বৈশ্বিক আসরে নামের পিছনে না ছুটে ফর্মের পিছনে ছোটা উচিৎ।’
এশিয়া কাপের আগে উইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তিনটিতেই ফিফটি করেছিলেন ঈশান কিষাণ। দারুণ ছন্দে থাকা এ ব্যাটারকে তাই অগ্রাহ্য করতে পারেনি টিম ম্যানেজমেন্টও। বিকল্প ওপেনার হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে নামিয়ে দেওয়া হয় পাঁচ নম্বরে।
পাঁচ নম্বর পজিশনের নতুন দায়িত্বে অবশ্য সাবলীল ছিলেন ঈশান। চাপের মুখে ব্যাটিং করতে নেমে খেলেন ৮২ রানের ইনিংস। আর এমন ইনিংস খেলার পরই ৫ নম্বরে অনেকেই ঈশান কিষাণকে চাচ্ছেন। প্রথমত, ঋষাভ পান্তের অনুপস্থিতিতে তিনি উইকেটরক্ষকের ভূমিকা পালন করতে পারছেন।
আর ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপে মিডল অর্ডারে এক বাঁ-হাতি না থাকলে প্রথম ৫ ব্যাটারই হতেন ডানহাতি। এসব কারণেই মূলত বিশ্বকাপের একাদশ বিবেচনায় এই মুহূর্তে লোকেশ রাহুলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ঈশান কিষাণ। তাছাড়া, শেষ ৬ ম্যাচে ভারতের হয়ে একটিও ম্যাচ খেলা হয়নি লোকেশ রাহুলের। দীর্ঘ বিরতির পর এ ব্যাটার কেমন করবেন সেই শঙ্কা থেকেই যায়। এ দিকে ভারতের হয়ে দারুণ ছন্দেই আছেন ইশান কিষাণ।
ঈশান কিষাণ প্রসঙ্গে গৌতম গম্ভীরের মতো একই মত জনপ্রিয় ক্রিকেট বিশ্লেষক আকাশ চোপড়ারও। তিনি মনে করেন, ‘ঈশান বরাবরই চাপের মুখে ব্যাটিং করেছে এবং ভাল ব্যাটিং করেছে। সে ডাবল সেঞ্চুরি করেও নিয়মিত একাদশে সুযোগ পায়নি। তাঁর সেরাটা বের করতে নিয়মিত সুযোগ দেওয়া উচিৎ। সবচাইতে বড় ব্যাপার হলো, ঈশান ওয়ানডে ক্রিকেটে কাঠামোটা বেশ ভাল বুঝেন।’
আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে আবারো পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ভারত। তবে প্রশ্ন যেখানে উঠছে তা হলো, বিশ্বকাপের আগে লোকেশ রাহুলকে পরখ করতে কি তাঁকে সেই ম্যাচে দেখা যাবে? সে ক্ষেত্রে অবশ্য বাদ পড়তে হবে ঈশান কিষাণকে। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য নিশ্চয়ই সেটি মধুর এক সমস্যা।