অভিজ্ঞ ব্যাটের জাদুকরী জুটি!

১৫ থেকে ১৮.১ ওভারে রান এলো যথাক্রমে ২০, ১৯, ২৫, ১৬। ২৫ বলে রান এলো ৮০! দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার অবিশ্বাস্য এক জয় উপহার দিল দলকে। বিপিএলেও জমে উঠলো প্রথম ম্যাচ দিয়েই।

তবুও এত চাপের দায়িত্ব বেশ বলিষ্ঠ কাঁধে সামলে নিচ্ছেন। অধিনায়ক হিসেবে দলের জয় নিশ্চিতের কাজটাও করছেন তিনি। টানা দু'টো হাফ-সেঞ্চুরি এসেছে তার ব্যাট থেকে। 

এবার কি তবে নতুন ইতিহাস অপেক্ষা করছে সিডনিতে? সেটা নির্ভর করেছে সৈকত কতটা চাপ সামলাতে পারবেন তার ওপর। সিডনির মত অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশও।

আসল প্রশ্নটা হচ্ছে তাসকিন আদতে নিজের ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে চান কি-না? তার পারফরমেন্স নিশ্চিতরূপেই বলছে তিনি ভাগ্য বদল করতে চান। তাইতো একা হাতে ধসিয়ে দিলেন ঢাকা ক্যাপিটালসকে, সেই সাথে গড়ে ফেললেন রেকর্ডও।

তার পৌঁছনোর পরে পরেই দিল্লীর প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৭৮-এ, ১০০.৪ ওভার খেলে। কোশেন্ট ২.৭৬।বাংলা ইনিংস শুরু হল। খুব ধীরে, কোশেন্টে চোখ রেখে। আজও মনে আছে, ইন্দুভূষণ রায় ফেরেন নিজের ৭ রানে। নামেন অরুণলাল।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছিল মোহামেডান। আবাহনী অধিনায়ক চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর টুটি চেপে ধরতে আক্রমণাত্মক ফিল্ডিংয়ের অংশ হিসেবেই ফিল্ডার আনলেন ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে। চির অভ্যাসবশত ফিল্ডার এবারও হেলমেটবিহীন। যদিও সতীর্থদের হেলমেট পরার অনুরোধকে তিনি পাত্তা দেননি। এই অভ্যাসের দাস হওয়াটাই কাল হলো তার জীবনে।

লস ব্ল্যাঙ্কোসদের এখনই নিশ্চিন্ত হওয়ার সুযোগ নেই, আধিপত্য ধরে রাখতে আরো কিছুটা কাঠখড় পোড়াতে হবে টিম ম্যানেজম্যান্টকে।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকে কত শত রেকর্ড ভেঙে একাকার করে দিয়েছেন রোনালদো সেটার ইয়ত্তা নেই। তবে এবার তাঁরই রেকর্ড ভেঙে দিলেন অচেনা এক তরুণ।

সিমো, আপনি কি রমন লাম্বা নামটা শুনেছিলেন কখনো? শোনার সম্ভাবনা অবশ্য কম কারণ লাম্বা যখন শেষ টেস্ট খেলে ফেলেছেন তখন আপনি মাত্র বারো। আর চার টেস্ট আর কুড়িটা মত ওয়ান ডে ম্যাচ খেলা লাম্বার ক্রিকেট জীবনের ঝুলিতে এমন কিছু ছিল না যা আপনার কান পর্যন্ত পৌঁছবে।