‘হি শ্যুড বি গিভেন দ্য সিটিজেনশিপ অব সেন্ট কিটস’ – মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের উদ্দেশ্যে এমন একটা কথা ভেসে এলো ধারাভাষ্য কক্ষ থেকে। কারণ আর কিছুই নয়, সেন্ট কিটসে যে তান্ডব মাহমুদউল্লাহ চালিয়েছেন সিরিজ জুড়ে সেটার প্রতি সম্মান দেখিয়েই ধারাভাষ্যকারের এমন মন্তব্য।
তিন ম্যাচের মধ্যে তাঁকে মাত্র একবার আউট করতে পেরেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের; আর এ সময় তিনি করেছেন সবমিলিয়ে ১৯৬ রান! অর্থাৎ ব্যাটিং গড় ১৯৬, গড়ের হিসেবে কোন দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এটিই বাংলাদেশীদের মধ্যে সেরা।
প্রথম ওয়ানডেতে ৪৪ বলে অপরাজিত ৫০ রান করেছিলেন এই ডানহাতি, পরের ম্যাচে দলের বিপর্যয়ের মুখে খেলেছিলেন ৬২ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস। সবশেষ ম্যাচে তো ঝড় তুলেছেন তিনি; স্রেফ ৬৩ বলে আদায় করেছেন ৮৪ রান।
অর্থাৎ সেন্ট কিটস স্টেডিয়ামে হাফসেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক করেছেন এই ব্যাটার। আর সবমিলিয়ে এখানে পাঁচ ম্যাচ খেলেছেন তিনি; করেছেন ৩৪১ রান আর ব্যাটিং গড় ১৭০.৫! এই মাঠে আর কোন ক্রিকেটারের এত বেশি গড় নেই।
প্রতিপক্ষের উঠোনে এমন ব্যাটিং আধিপত্য আগে খুব একটা দেখেনি লাল-সবুজের ক্রিকেটাঙ্গন। অ্যাওয়ে সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক টাইগার ব্যাটারদের তালিকায় দুই নম্বরে আছেন রিয়াদ, তিন ম্যাচে তাঁর অর্জন ১৯৬ রান।
শিষ্যে থাকা নামটার সঙ্গেও জড়িয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০১৮ সালে এই ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ২৮৭ রান করেছিলেন তামিম ইকবাল – অর্ধ যুগ পর একই দেশে দাঁড়িয়ে ধারাবাহিকতার অনন্য প্রমাণ দিলেন তাঁরই দীর্ঘদিনের সতীর্থ রিয়াদ। দল যেমনই খেলুক, সিরিজে তিনি ব্যক্তিগতভাবল উজ্জ্বল ছিলেন ঠিকই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির তগে তাঁকে ঘিরে সংশয়ের যে জাল সৃষ্টি হয়েছে সেটাও উবে গিয়েছে এতক্ষণে।