ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দুর্নীতি দমন আইনের চারটি নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে মারলন স্যামুয়েলসকে অভিযুক্ত করেছে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু)। জুয়াড়ির সাথে আর্থিক লেনদেন ও উপহার নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুই বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে।
আজ (২২ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি। কয়েক বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফরম্যাট টি টেন লিগ। টি টেনে কর্ণাটক টাস্কার্সের হয়ে খেলেছেন স্যামুয়েলস। এই টুর্নামেন্টে খেলার সময় জুয়াড়িদের কাছে থেকে টাকার সাথে বিভিন্ন উপহার নিয়েছেন তিনি।
টুর্নামেন্ট শেষে এই বিষয়ে আইসিসির কাছে অভিযোগ দায়ের করেন সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। এরপরই তদন্ত শুরু করে আকসু। কিন্তু নিজের দোষ অস্বীকার করে তদন্তকারীদের সহায়তা না করে তাদের কাজে বাধা দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই ক্রিকেটার।
তবে তাতেও পার পাননি তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে চারটি ধারায় অভিযোগ দায়ের করে আকসু। আচরণ বিধি ভঙের ২.৪.২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তিনি বিভিন্ন উপহার ও টাকা নিয়েছেন কিন্তু সেটা তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে অস্বীকার করেছেন।
আচরণ বিধি ভঙের ২.৪.৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জুয়াড়িদের কাছে থেকে ৭৫০ মার্কিন ডলার কিংবা তার চেয়ে বেশি অর্থ নিয়েছেন তিনি। আচরণ বিধি ভঙের ২.৪.৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তদন্ত কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আচরণ বিধি ভঙের ২.৪.৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তদন্তের জন্য প্রয়োজন হতে পারে এমন তথ্য গোপন করে তদন্ত কাজে বাধা প্রদান করেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৭১ টি টেস্ট খেলেছেন স্যামুয়েলস। এই ৭১ টেস্টে ৩২.৬৪ গড়ে ৩৯১৭ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি। টেস্টে তাঁর হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে ২৪ টি, সেঞ্চুরি রয়েছে ৭ টি এবং ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে ১ টি। টেস্টে তাঁর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ২৬০।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২০৭ টি ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। ২০৭ ওয়ানডের ১৯৬ ইনিংসে ৩২.৯৮ গড়ে ও ৭৫.১২ স্টাইকরেটে ৫৬০৬ রান সংগ্রহ করেছেন এই ব্যাটসম্যান। ওয়ানডেতে ৩০ টি হাফ সেঞ্চুরির সাথে ১০ টি সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর।
আর দেশের হয়ে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী এই ক্রিকেটার খেলেছেন ৬৭ টি টি-টোয়েন্টি। ৬৭ ম্যাচের ৬৫ ইনিংসে ২৯.২৯ গড়ে ও ১১৬.২৩ স্টাইকরেটে ১৬১১ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে কোন সেঞ্চুরি না থাকলেও রয়েছে ১০ টি হাফ সেঞ্চুরি। এছাড়া বল হাতে টেস্টে ৪১ টি, ওয়ানডেতে ৮৯ টি ও টি-টোয়েন্টিতে ২২ টি উইকেট শিকার করেন তিনি।