লিটন/হৃদয় – মাইনাস টু এখন সময়ের দাবি!

ব্যাটিং মোমেন্টাম নষ্টের গোড়ায় আছেন লিটন দাস। তাঁর সাথে কাঠগড়ায় উঠবে তাওহীদ হৃদয়ের নামও। অধিনায়ক লিটন টাচে নেই একদম, আর সেটার প্রভাব পড়েছে পুরো দলের ব্যাটিংয়ে। সেই প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে মিডল ওভারে যথারীতি আরেকটা অবিবেচক ইনিংস খেলেছেন তাওহীদ হৃদয়।

ব্যাটিং মোমেন্টাম নষ্টের গোড়ায় আছেন লিটন দাস। তাঁর সাথে কাঠগড়ায় উঠবে তাওহীদ হৃদয়ের নামও। অধিনায়ক লিটন টাচে নেই একদম, আর সেটার প্রভাব পড়েছে পুরো দলের ব্যাটিংয়ে। সেই প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে মিডল ওভারে যথারীতি আরেকটা অবিবেচক ইনিংস খেলেছেন তাওহীদ হৃদয়।

বাংলাদেশের পরিকল্পনায় গলদ অবশ্যই আছে, কিন্তু তারপরও ‍দুই ওপেনার মিলে এনে দিয়েছিলেন ভাল সূচনা। কিন্তু, সেই মোমেন্টাম নষ্ট করেছেন খোদ লিটন দাস। ‍দুই ওপেনার মিলে পাঁচ ওভারে রান তুলেছিলেন ৪৬। টি-টোয়েন্টিতে নি:সন্দেহে ভাল সূচনা।

কিন্তু, তানজিদ তামিম আউট হয়ে যাওয়ার পরই ইনিংসটা যেন শ্রীলঙ্কাকে উপহার দিলেন লিটন। ১১ বলে ৬ রান করলেন তিনি। একেবারেই ছন্দে নেই লিটন, কোনো বলই ব্যাটে বলে হচ্ছিল না। জেফরি ভ্যান্ডারসের বিপক্ষে বলের লাইন মিস করে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন।

তাওহীদ হৃদয় যেন আরও এক কাঠি সরেস। দাসুন শানাকা একটা নির্দিষ্ট চ্যানেল ধরে বল করে যাচ্ছিলেন, অফ স্ট্যাম্পের বাইরে। বারবার সেই বলে কাট করতে চেষ্টা করছিলেন হৃদয়। অনেক চেষ্টায় একটা বলে ব্যাটের ছোঁয়া লাগল, সেটাই গিয়ে জমা হল উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের হাতে। এত সংগ্রাম করে আউট হতে ক’জনই বা পারেন।

চার নম্বরে নেমে একজন ব্যাটার থাকলেন ইনিংসের শেষ অবধি। সেখানে তিনি ব্যাট করলেন ১১০ স্ট্রাইক রেটে। ২৯ বলে করলেন ৩২ রান। এভাবে টি-টোয়েন্টিতে বড় সংগ্রহ আসে না। ভাগ্যিস শেষে নেমে শামিম পাটোয়ারি দু’টো ছক্ক হাকাতে পেরেছিলেন।

যেভাবে বাংলাদেশের ইনিংস শুরু হয়েছিল তাতে অনায়াসে সংগ্রহটা ১৮০ কি ২০০-তে যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে বাংলাদেশ বিশুদ্ধ ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে করতে পারল মাত্র ১৫৪!

লেখক পরিচিতি

সম্পাদক

Share via
Copy link