গিয়ার শিফটিংয়ে আটকে গেছে মিরাজের গাড়ি

প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে যাওয়ার পর হোঁচট খেয়েছেন মিরাজ। তাতে করে তার খেলা পুরো ইনিংসটিই মিথ্যে হয়ে যায় না। 

মেহেদী হাসান মিরাজের ওপর গোসসা করে ফায়দা নেই। তিনি তার প্রাথমিক কাজটা যথাযথভাবেই পালন করে গেছেন। কিন্তু প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে যাওয়ার পর হোঁচট খেয়েছেন মিরাজ। তাতে করে তার খেলা পুরো ইনিংসটিই মিথ্যে হয়ে যায় না।

নতুন এক রোলে ইদানিং নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। চার নম্বরে নেমে ইনিংসের হাল ধরাই হচ্ছে মিরাজের বর্তমান দায়িত্ব। তাতে করে তিনি বল খরচ করবেন। ধীরস্থির ভঙ্গিমায় রান সংগ্রহ করবেন। ওয়ানডে ক্রিকেট বিবেচনায় সে দায়িত্ব মিরাজ বেশ ভালভাবেই পালন করেছেন সেইন্ট কিটসে।

তিনি যখন বাইশ গজে এসেছেন তখন স্রেফ অষ্টম ওভার চলমান। সেখান থেকে ইনিংস বড় করতেই হতো কাওকে না কাওকে। সে কাজটা যথাযথভাবেই করে গেছেন মিরাজ। যদিও এই কাজে তাকে সহয়তা করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেসি কার্টি। এক রানের মাথায় ও ৩১ রানের মাথায়, দুইবার মিরাজের ক্যাচ ফেলেছেন কার্টি। দুই দফা জীবন পেয়ে মিরাজ ছুটেছেন ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দিকে।

কিন্তু অর্ধশতক থেকে শতকের দিকেও ঠিকই ছিল মিরাজের নজর। কিন্তু গিয়ার শিফটিংয়ের দ্বিতীয় দায়িত্বটি ঠিকঠাক পালন করতে পারেননি মিরাজ। কিন্তু চেষ্টা ঠিকই করেছেন। যে বলটিতে তিনি আউট হয়েছেন, সেই বলটিতে তুলে মারতে চেয়েছেন। ম্যাচের ৩৮ তম ওভারে সেট ব্যাটার হিসেবে হাতখুলে খেলার দায়িত্ব তাকেই নিতে হতো।

তিনি রান তোলার গতি পরিবর্তনে আটকে গেছেন জায়ডন সিলসের বলে। তাতে করে ৭৪ রানে থেমেছে মিরাজের ইনিংস। ১০১ বলের এই ইনিংসটিকে শেষ অবধি হয়ত দৃষ্টিকটু মনে হতো না, যদি মিরাজ দ্বিতীয় দায়িত্বটা যথাযথভাবে পালন করতে পারতেন।

তবে এখনই নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। মিরাজ ধীরে ধীরে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ রাখছেন সর্বত্র। ব্যাট হাতে প্রমোশন পেয়ে অ্যাংকর হওয়ার দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন নিজের কাঁধে। এখন সেই দায়িত্ব পালনে পটু হতে তাকে যে খানিকটা সময় দিতেই হবে।

Share via
Copy link