মিরাজ ২ – সৈকত ০!

অবশেষে যেন মিরাজ আসলে রিভিউ পদ্ধতির কৌশলটা রপ্ত করতে পারলেন। তাহলে কি মিরাজ সত্যিই দায়িত্ব নেওয়া শিখে গেছেন, নাকি নির্ভুল সৈকত তাঁর আবেদন হারিয়েছেন?

মেহেদি হাসান মিরাজ বনাম শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত – টানা দু’বারই জিতে গেলেন মিরাজ। আম্পায়ার সৈকতের বিপক্ষে টানা দুই রিভিউয়ের দুইটাতেই সফল মিরাজ। তাও একবার ব্যাটার হিসেবে, আরেকটা ফিল্ডিং দলের অধিনায়ক হিসেবে। মিরাজ কি তবে রিভিউ নিতে শিখে গেছেন!

মিরাজ একজীবনে বহু হাস্যকর রিভিউ নিয়েছেন। ব্যঙ্গ করে অনেকেই বলা শুরু করেছিলেন, রিভিউ নেওয়ার সময় মিরাজের ‘আবেগ কাজ করে, বিবেক নয়’। অথচ, সেই মিরাজের কাছেই যেন কুপকাত দেশ তো বটেই এই মুহুর্তের বিশ্বের সেরা আম্পায়ারদের একজন সৈকত।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) যেন সৈকতকে বাস্তবতাই চেনাচ্ছেন মিরাজ। রোহিত শর্মা, জাসপ্রিত বুমরাহ থেকে শুরু করে প্যাট কামিন্স – বিশ্বের বহু নামি-দামি কাপ্তানরাই রিভিউ নিয়ে অসফল হচ্ছিলেন সৈকতের বিরুদ্ধে। ব্যাপারটা অনেকটা তার বিরুদ্ধে রিভিউ নেওয়া মানেই তা বিফলে যাবেন, এমনটা এক অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে সৈকতও যে মানুষ, তার ও ভুল হতে পারে এটা একবার না দুই দুইবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন মিরাজ।

ফরচুন বরিশালের তাওহীদ হৃদয়ের দিকে একটা গুড লেন্থের স্যুইঙ্গার ছুড়ে দিলেন আবু হায়দার রনি। মিডিল আর অফ স্ট্যাম্পের ভিতরে আসা বলটা আর ফ্লিক করতে পারেননি তিনি। ব্যাস, জোরালো আবেদন মেহেদি হাসান মিরাজের দলের। যদিও সৈকত সাহেব সারা দিলেন না। আত্নবিশ্বাসী মিরাজ আবারও আম্পায়ার সৈকতকে চ্যালেঞ্জ জানালেন রিভিউ নিয়ে।

টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট ব্যাট লাগেনি বল। বল ট্র্যাকিংয়ে পূর্ণ মার্কস পেল মিরাজের রিভিউ। এতেই সাজঘরের পথ ধরলেন তাওহীদ। আবারও ভুল প্রমানিত হলেন সৈকত।

এর আগেও এই ফরচুন বরিশালের বিপক্ষেই ব্যাটার হিসেবে রিভিউ নিয়ে সফল হয়েছিলেন মিরাজ। ফাহিম আশরাফের অফ সাইডের বেশ বাইরের বলে মিরাজকে এলবিডব্লুর আউট দিয়েছিলেন সৈকত। সে দফায়ও তাকে ভুল প্রমান করেছিলেন মিরাজ। অবশেষে যেন মিরাজ আসলে রিভিউ পদ্ধতির কৌশলটা রপ্ত করতে পারলেন। তাহলে কি মিরাজ সত্যিই দায়িত্ব নেওয়া শিখে গেছেন, নাকি নির্ভুল সৈকত তাঁর আবেদন হারিয়েছেন?

Share via
Copy link