দাউ দাউ জ্বলে দুরন্ত বহ্নি

২০১৫ সালে ক্ষুদে ওয়েন এসেছিলেন এই হোবার্ট হারিকেন্সের ম্যাচ দেখতে। ব্রিসবেন হিটসের বিপক্ষে দলকে জিততে দেখে যান। ১০ বছর বাদে সেই একই মঞ্চে তিনি আসলেন খেলোয়াড় হিসেবে, এবার শিরোপা জিতে ছাড়লেন মাঠ। স্বপ্ন এবার সত্যি হল, একেই বলে সত্যিকারের টেন ইয়ার্স চ্যালেঞ্জ!

লেগেছে লেগেছে আগুন। জ্বলছে জ্বলছে দ্যাখ সব পরীদের ডানা। পরীদের সবগুলো ডানায় আগুন লেগে গেছে বিগ ব্যাশের ফাইনালে। আর সেই আগুনের নাম মিশেল ওয়েন। খোদ বিগ ব্যাশ ফাইনালে তাঁর ব্যাটে জ্বলে-পুড়ে গেছে হোবার্টের গ্যালারি।

ব্যাস, এক নতুন সুপার স্টারের জন্ম হয়ে গেল এই বিশ্ব ভ্রহ্মাণ্ডে। একটা ইনিংস দিয়েই ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়ে গেল তাঁর নাম। মাত্র ৪২ বলে ১০৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। অভাবনীয়, অনবদ্য ও অবিশ্বাস্য!

ওয়েনের গল্পটা অবশ্য শুরু হয়েছে আরও আগে। ২০১৫ সালে ক্ষুদে ওয়েন এসেছিলেন এই হোবার্ট হারিকেন্সের ম্যাচ দেখতে। ব্রিসবেন হিটসের বিপক্ষে দলকে জিততে দেখে যান। ১০ বছর বাদে সেই একই মঞ্চে তিনি আসলেন খেলোয়াড় হিসেবে, এবার শিরোপা জিতে ছাড়লেন মাঠ। স্বপ্ন এবার সত্যি হল, একেই বলে সত্যিকারের টেন ইয়ার্স চ্যালেঞ্জ!

বাউন্ডারির চেয়ে ওভার বাউন্ডারি বেশি। ইনিংসে ১১ টা ছক্কা আর ছয়টা চার। মানে কেবল চার-ছক্কা থেকেই আসে ৯০ রান। দৌঁড়ে নিয়েছেন আর বাদবাকি ১৮ রান। কতট ঝড়ো ছিলেন এই ২৩ বছর বয়সী ডান হাতি ব্যাটার সেটা আর বলে না দিলেও চলে।

মাত্র ১৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ৩৯ বলে সেঞ্চুরির ম্যাজিকাল ফিগারে পৌঁছে যান তিনি।  মিশেল ওয়েন্সের এই ইনিংসের সুবাদে মাত্র ১৪.১ ওভারেই ১৮৫ রান তাড়া করে জিতে যায় হোবার্ট হারিকেন্স। এক পাক্ষিক ফাইনালে ৩৫ বল বাকি থাকতেই সাত উইকেটে হারে সিডনি থান্ডার।

রেকর্ডবুকেও ওলট পালট করেছেন। বিগ ব্যাশের ইতিহাসে ওয়েনের এই ইনিংসটাই এখন সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। তবে, যৌথভাবে। সমান ৩৯ বলেই ২০১৪ সালে সেঞ্চুরি করেছিলেন ক্রেইগ সিমন্স। সেই সিমন্সের আদৌ আর কোনোদিন জাতীয় দলে খেলা হয়নি।

মিশেল ওয়েনের গল্পটাও কি তেমনই হবে? সিমন্সের বয়স তখন ছিল ৩১, আর ওয়েনের ২৩। নিজেকে শীর্ষ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সিমন্সের চেয়ে যথেষ্ট বেশি সময়ই পাচ্ছেন ওয়েন। ভাবুন একবার, ট্রাভিড হেডের সাথে অজিদের ইনিসের সূচনা করতে নামছেন ওয়েন, বোলারদের রাতের ‍ঘুম এটুকু শুনলেই নষ্ট হয়ে যেতে বাধ্য!

Share via
Copy link