দুই, দুই এবং দুই – বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনটা আপনি চাইলে মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যক্তিগত প্রদর্শনী হিসেবে ভাবতে পারেন। কেননা এই সেশনের হাইলাইটস বলতে গেলে তিনিই; বল হাতে পেয়েছেন দুই উইকেট, হয়েছেন নায়ক। আবার তাঁর হাত থেকেই ফস্কে গিয়েছে সহজ ক্যাচ।
প্রথম টেস্টের শেষদিনে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়েছিল, নাটকীয় এক ধ্বস নামে তাঁদের লাইনআপে আর তাতেই ঐতিহাসিক এক জয় পায় বাংলাদেশ। বল হাতে সেদিন প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেয়ার অন্যতম নায়ক ছিলেন এই অফ স্পিনার; পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা তিনি ধরে রেখেছেন দ্বিতীয় টেস্টেও, পাকিস্তানের টপ অর্ডারকে থামিয়ে দেয়ার কাজটা করেছেন।
বৃষ্টি বাঁধায় প্রথম দিনের খেলা পন্ড হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দিনে রাওয়ালপিন্ডির উইকেট কিছুটা হলেও ব্যাটিং বান্ধব হয়ে উঠেছিল। আবদুল্লাহ শফিক শুরুতে ফিরলেও সায়িম আইয়ুব এবং শান মাসুদ দারুণ ব্যাটিং করতে থাকেন।
তাঁদের ১০৭ রানের জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন মিরাজ। এলবিডব্লুর ফাঁদে আটকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছিলেন পাক অধিনায়ককে, খানিক পরে বাঁ-হাতি ওপেনারকেও একই পথ দেখিয়েছেন। শুধু উইকেট প্রাপ্তি নয়, পুরো সেশন জুড়েই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে গিয়েছেন তিনি।
চাপে পড়া স্বাগতিকদের আরও কোণঠাসা করার সুযোগ অবশ্য এই তারকা নিজেই হারিয়েছেন। নাহিদ রানার বলে স্লিপে সহজ ক্যাচ দিয়ে বসেছিলেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সৌদ শাকিল, কিন্তু সেটা তালু-বন্দি করতে পারেননি তিনি। যদিও সেই ক্যাচ মিসের খেসারত খুব একটা দিতে হয়নি টাইগারদের, ১৬ রান করেই আউট হয়েছেন শাকিল।
দেশের বাইরে বিশেষ করে ফ্ল্যাট উইকেটে মেহেদি মিরাজ অকার্যকর এমন আলোচনা ইতোমধ্যে ভুল প্রমাণ করেছেন তিনি। রাওয়ালপিন্ডির ফাটা উইকেট তাঁকে নতুন করে চিনিয়েছে, সেই সাথে ফিল্ডিংয়ে আরেকটু মনোযোগী হওয়ার বার্তাও দিয়েছে বটে।