ডিপিএলের প্রথম রাউন্ডের শেষদিনে সেঞ্চুরি মিসের মহারণ। ইয়াসির আলী, সাদমান ইসলাম আর শামসুর রহমানের ব্যাট যেন এদিন পারফরম্যান্সের থেকে আফসোস বাড়িয়েছে। বিশেষ করে নার্ভাস নাইন্টিতে কাটা পড়া ইয়াসিরের কষ্টটা বাকিদের চাইতে একটু বেশি।
পারটেক্সের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে ইয়াসিরের ধানমণ্ডি স্পোর্টস ক্লাব তখন রীতিমতো ধুকছে। ৪০ রানে নেই ৬ উইকেট। সেখান থেকে ম্যাচের হালটা ধরেন ইয়াসির আলী রাব্বি। বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং আর স্ট্রাইক রোটেট করে সামাল দেন পরিস্থিতি।
অল্প রানে অলআউট হওয়ার শঙ্কা কাটিয়ে বেশ ভালো সংগ্রহের দিকে তখন ধানমন্ডির ইনিংস। আর তখনই মনোযোগ হারালেন, তাড়াহুড়ো করে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে হলেন স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার। ১৫০ মিনিট ক্রিজে থেকে ৩ চার আর ৪ ছয়ে ৯০ রান করে ফিরতে হয়েছে তাকে।
অগ্রণী ব্যাংকের সাদমানের ইনিংসটাও পেরোতে পারতো ১০০ রানের গন্ডি। ব্যাট হাতে পুরোটা সময় দাপট দেখিয়েছেন সাদমান। স্ট্রাইক রোটেশন আর সুযোগ বুঝে বাউন্ডারি হাকানো সবমিলিয়ে দৃষ্টিনন্দন এক ইনিংস সাজান এই ওপেনার।
ওপেনিং জুটিতেই অগ্রণীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ১০৫। তবে ৮৭ তেই আটকে যেতে হয় সাদমানকে। গাজী গ্রুপের শামসুর রহমানও যেন সেই একই পথের পথিক। ৮৪ রান করে দলকে বড় স্কোর তুলতে সাহায্য করলেও আক্ষেপ তো থেকেই যায়।
ডিপিএলের ১১ তম রাউন্ডের খেলায় তাই তো ব্যাটাররা নিজেদের হতভাগা বলতেই পারেন। আরেকটু মনোযোগী হলে কিংবা ছোটখাটো ভুল না করলেই ডিপিএলে বেশ কিছু সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া যেত। কিন্তু বরাবরই দেশী ব্যাটারদের টেম্পারমেন্টের ঘাটতি আবারও চোখের সামনে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও সেই দশা কাটিয়ে উঠতে পারছে না সাদমান-রাব্বিরা। আন্তর্জাতিকের বেহাল দশাও তাই অবধারিত।