ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গত মাসের ২৩ তারিখে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছে বাংলদেশ। নিউজিল্যান্ডে পৌছার পর থেকেই করোনার কারণে কঠোর কোয়ারেন্টাইন বিধি মেনে চলতে হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। এখন পর্যন্ত অনুশীলনও শুরু করতে পারেনি সফরকারী ক্রিকেটাররা।
প্রথম তিন দিন হোটেলে বন্দী থাকার পর কোয়ারেন্টাইনের তৃতীয় দিন প্রথম দফার করোনা টেস্টে সবাই নেগেটিভ আসার পর সুযোগ দেওয়া হয়েছিলো প্রতিদিন ৩০ মিনিট বাইরে হাটার। আর অষ্টম দিন দ্বিতীয় দফায় করোনা নেগেটিভ আসার পর আরো শিথিল করা হয়েছে কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম।
আজ প্রথম বারের মতো জিম করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিলো বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। আগামীকাল কাল থেকে শুরু হবে ছোট ছোট গ্রুপ করে অনুশীলনও। দীর্ঘ দিন পর জিমে ফিরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিথুন জানিয়েছেন অনুশীলনে ফেরার পর আরো ভালো লাগবে তাদের; মানিয়ে নিতে পারবেন সব কিছুর সাথে।
বদ্ধ রুম থেকে মুক্তি পেয়ে এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘এতদিন আমাদের চলাচলে অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল। আস্তে আস্তে জিনিসগুলো এখন স্বাভাবিক হচ্ছে। আজকে আমরা জিম করার সুযোগ পেয়েছি। প্রায় এক সপ্তাহ পরে জিম ব্যবহার করতে পেরে ভালো লাগছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ ব্যাপারে অনেক বেশি রোমাঞ্চিত। ঘরের ভেতর থাকাটা আসলেই কষ্টকর। এখানে খুব একটা কিছু করার নাই ঘরের ভেতর থেকে। তাছাড়া আমরা একটা সিরিজ খেলতে এসেছি। আমরা কালকে থেকে মাঠে যেতে পারব- এটা ভাবতেই আলাদা ভালো লাগা কাজ করছে। ইনশাল্লাহ, আমরা কাল যখন ক্রিকেট অনুশীলনে ফিরব তখন আস্তে আস্তে আমরা সব কিছু মানিয়ে নিতে পারব।’
জিম ও অনুশীলন শুরু করলেও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড শেষ করতে হবে বাংলাদেশকে। কোয়ারেন্টাইন শেষে কুইন্সটাউনে সাত দিনের ট্রেনিং ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ। ২০ মার্চ ডুনেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে সিরিজ। ২৩ মার্চ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে হ্যাগলি ওভাল, ক্রাইস্টচার্চে এবং ২৬ মার্চ শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে বেসিন রিজার্ভ, ওয়েলিংটনে।
ওয়ানডে সিরিজ শেষে ২৮ মার্চ সেডন পার্ক, হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। ৩০ মার্চ ম্যাকলিন পার্ক, নেপিয়ারে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শেষে ইডেন পার্ক, অকল্যান্ডে এক এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে শেষ টি-টোয়েন্টি। জানিয়ে রাখা ভাল, এর আগে কোনো ফরম্যাটেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে জয় পায়নি বাংলাদেশ দল।