খুব বেশি আগের কথা নয়, যখন মোহাম্মদ মিঠুন জাতীয় দলে আসা-যাওয়ার মাঝে ছিলেন। তবে মিডল অডারে ব্যাট করা এই ক্রিকেটার প্রায় একটা লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন। তবুও তিনি নিয়ম করে খেলছেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট গুলোতে। মোহাম্মদ মিঠুন চলমান ২০২২ -২৩ মৌসুমের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি গায়ে চড়িয়েছেন।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে নিজের সামর্থ্যের একটা ছাপ রাখলেন তিনি। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে দারুণ একটা ইনিংস খেলেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। তবে একটা আক্ষেপ নিশ্চয়ই কাজ করেছে তাঁর মাঝে।
কেননা সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৭ রানের দূরত্বে থেমে যায় মিঠুনের ইনিংস। ৯৭ বলে ৯৩ রান করেন মিঠুন। এদিন শাইনপুকুরের বিপক্ষে ১০টি চার ও ৩টি ছয় হাকিয়েছেন তিনি। ৯৫.৮৮ স্টাইক রেটে দলের সংগ্রহ বাড়িয়েছেন দ্রুতগতিতেই। অনেকটা চান্দিকা হাতুরুসিংহে যে ঘরানার ব্যাটিং চান – সেভাবেই খেলেছেন মিঠুন। তাহলে কি জাতীয় দলে ফেরাতেই মনোযোগ দিচ্ছেন মিঠুন?
সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য পাওয়া যায়নি। এদিন দলকে এগিয়ে নিয়ে যান বড় একটা সংগ্রহের দিকে। মিঠুনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বড় রানের জুটি গড়েন প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। মিঠুনের সামর্থ্য প্রমাণের দিনে অনুজ্জ্বল ছিলেন নাসির হোসেন। এদিন রান আসেনি নাসিরের ব্যাট থেকে।
মাত্র ১৩ রান করে আউট হয়ে যান চলতি বছরের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দুর্দান্ত পারফরম করা নাসির হোসেন। নিজেকে যেন আবার হারিয়ে ফেলেছেন নাসির। তবে মিঠুন চাইছেন আবার নিজের সেরাটা দিয়ে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন ঘটাতে।
এবারের লিগে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়কত্ব করছেন মোহাম্মদ মিঠুন। উদ্বোধনী ম্যাচেই প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে জয় এনে দিয়েছেন তিনি। যদিও প্রথম ম্যাচে লম্বা ইনিংস খেলতে না পারেননি। তবে, তাঁর করা ৪০ বলে ৩১ রান ম্যাচ জয়ে রেখেছিল বড় ভূমিকা।
২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয় মিঠুনের। তখন ২ ম্যাচ খেলেই বাদ পড়তে হয়েছিল। এরপর আবার তিনি ফিরেছেন। কিন্তু, কখনোই জাতীয় দলের তিনি থিতু হতে পারেননি। আসা-যাওয়ার মাঝেই কেটেছে তাঁর সময়। তবে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে তিনি নিয়মিত পারফরমার। জাতীয় দলে এলেই যেন তিনি খেঁই হারিয়ে ফেলেন। নিশ্চয়ই সে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ কাটিয়ে ওঠার প্রচেষ্টাই করবেন তিনি। তবে, হাতে সময় খুবই কম।