দুনিয়া জুড়ে হওয়া ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আফগানিস্তানের খেলোয়াড়দের এখন দেখা যায় হরহামেশাই। অন্তত লেগ স্পিনাররা তো থাকেনই। এর মূল কারণ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আফগানিস্তানের দারুণ পারফরমেন্স। এই উত্থান সামনে থেকে দেখেছেন মোহাম্মদ নবী। শুধু দেখেননি তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, পারফরম করেছেন দলের জন্যে, আদায় করেছেন বিশ্বের সমীহ।
সেই মোহাম্মদ নবী এবারও রয়েছেন আফগানিস্তান স্কোয়াডে। সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবেই তিনি গায়ে চাপাতে চলেছেন বিশ্বকাপের জার্সি। অভিজ্ঞতার বলেই যে কেবল তিনি সুযোগ পেয়েছেন এবারের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে- বিষয়টি মোটেও তা নয়। বরং তিনি পারফরমার হিসেবেই জায়গাটা নিজের করে নিয়েছেন।
ব্যাটে-বলে সমানতালে পারফরম করতে জানেন মোহাম্মদ নবী। এমনকি নিজের খেলা ছয়টি টুর্নামেন্টে আফগানিস্তানের অন্যতম সেরা পারফরমার তিনি। উদীয়মান দলটার হয়ে বল হাতে ১৯টি উইকেট বাগিয়ে নিয়েছেন। ২০১০ থেকে ২০২২ এই ছয় বিশ্বকাপে ২২ ম্যাচে ২৯১ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
দীর্ঘ একটা পথচলায় তিনি দলকে নিরাশ করেননি। দলগতভাবে সাফল্য এসে ধরা দিয়েছে কালেভদ্রে। কিন্তু নবী চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন প্রতিনিয়ত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট বাগিয়েছেন। উইকেট শিকারের দিক থেকে তার পেছনে রয়েছেন স্রেফ রশিদ খান।
অন্যদিকে রান তোলার দিক থেকে নবীকে ছাপিয়ে গেছেন মোহাম্মদ শেহজাদ, নাজিবুল্লাহ জাদরানরা। তাইতো আফগানিস্তান দলের ভারসাম্য বজায় রাখতে এদফাও এগিয়ে আসতে হবে মোহাম্মদ নবীকে। তার অনুজদের দেখাতে হবে পথ। বিশ্বকাপ জিতে নেবে আফগানিস্তান, সেটা বরং দিবাস্বপ্ন। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে আফগানরা লিখে ফেলতেই পারে কোন এক রুপকথা। সে রুপকথার সেনাপতি হিসেবে হয়ত নবীকেই যাবে দেখা।
ব্যাট হাতে তার টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইকরেট যথেষ্ট ভাল। প্রায় ১৩৯। শেষের দিকে দ্রুত রান তোলায় তিনি বেশ সিদ্ধহস্ত। তাছাড়া ইনিংস বিল্ডআপের কাজটাও তার ভালই জানা। এছাড়া বল হাতে ব্রেকথ্রু এনে দিতেও পটু মোহাম্মদ নবী। ডান হাতের অফস্পিন বোলিং তার বেশ কার্য্যকর। এই দুইয়ের মিশেলে তিনি নিশ্চতভাবেই অবদান রাখতে চাইবেন।