অসুস্থ মাকে হাসপাতালে রেখে আইপিএলে গুরবাজ!

আবেগ আর পেশাদারিত্বের পরীক্ষায় পেশাদারিত্বকেই বেছে নিলেন আফগান ক্রিকেটার রহমানুল্লাহ গুরবাজ।

আবেগ আর পেশাদারিত্বের পরীক্ষায় পেশাদারিত্বকেই বেছে নিলেন আফগান ক্রিকেটার রহমানুল্লাহ গুরবাজ। মাকে হাসপাতালে রেখে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপদে সাড়া দিলেন গুরবাজ। আফগান এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে আনতে রাখেন বিশেষ ভূমিকা।  সেই সাথে রাখছেন মায়ের খবর।

এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ২২ গজে দেখাই যায়নি গুরবাজকে। কেননা তাঁর জায়গাটা অনেকটা দখলই করে রেখেছিলেন ফিল সল্ট। আর সল্টের বিদায়ে ডাক পড়ে গুরবাজের। তবে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না তাঁর। গুরবাজের মা অসুস্থ এবং হাসপাতালে ভর্তি। আর সেই মুহূর্তেই ডাক এল আইপিএলের। তবে তিনি বাস্তবতার সাথে তাল মিলিয়ে পেশাদারিত্বকেই বেছে নিয়েছেন। যোগ দেন কলকাতার হয়ে এবারের আসরের কোয়ালিফায়ারে।

এই বিষয়ে গুরবাজ বলেন, ‘আমার মা এখনো অসুস্থ। তিনি হাসপাতালে ভর্তি। আর ফিল্ট সল্টের বিদায়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কর্মকর্তারা আমাকে কল এবং ম্যাসেজ দেয়, গুরবাজ, তোমাকে আমাদের প্রয়োজন। তোমার কি অবস্থা? আমি তাঁদের জানাই যে, আমি আসবো।’

গত মৌসুমেই গুরবাজ কলকাতার সাথে যোগ দিয়েছিলেন। তবে তিনি পরিবারের প্রয়োজনে আফগানিস্তানে ফিরে গেলেও, কলকাতার বিপদে আবার ঠিকই সাড়া দেন। তিনি বলেন, ‘আমার মা এখন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। আমি তাঁর সাথে প্রতিদিনই যোগাযোগ রাখছি। কিন্তু কলকাতাও আমার পরিবার। তাঁদেরও আমাকে প্রয়োজন। তাই আবার আফগানিস্তান থেকে ফিরে আসি।’

এই উইকেটরক্ষক হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে গ্লাভস হাতে নেন দুইটি ক্যাচ নেন। আর ব্যাট হাতে ১৪ বলে ১৬৪.২৯ স্ট্রাইক রেটে করেন ২৩ রান। সেখানে ২ টি চার এবং ২ টি ছক্কায় সাজিয়েছেন ইনিংস। ২০ রান তিনি বাউন্ডারি থেকেই আদায় করেন। তিনি বলেন, ‘একজন ক্রিকেটার হিসেবে আপনাকে জানতে হবে কখন, কি করতে হবে। আপনার যদি কোনো সুযোগ না থাকে, তবে আপনাকে ভাল প্রস্তুতি নিতে হবে এবং সুযোগ তৈরি করতে হবে।’

এবারের টুর্নামেন্টে পুরোটা সময় জুড়ে দাপট দেখিয়ে এসেছে কলকাতা। আর মাত্র একটি ম্যাচে জয় পেলেই কলকাতা পাবে তৃতীয় আইপিএল শিরোপার স্বাদ। গুরবাজ ফাইনালে তাঁর দায়িত্বটা কতখানি পালন করতে পারে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...