শেষ ওয়ানডের দলে মোহাম্মদ নাঈম

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডের জন্য আর নতুন করে দল ঘোষণা করেনি বিসিবি। শেষ ম্যাচের স্কোয়াডে শুধু মোহাম্মদ নাঈম শেখকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তৃতীয় ওয়ানডের স্কোয়াডে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে অন্তর্ভুক্ত করে ১৫ জনের স্কোয়াড বাড়িয়ে ১৬ জন করা হয়েছে। আর স্ট্যান্ড বাই রাখা হয়েছে তিন জনকে। আজ এক সংবাদ বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

মূলত সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ওপেনার লিটন দাস ব্যর্থ হওয়াতেই স্কোয়াডে যোগ করা হয়েছে তাকে। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে স্ট্যান্ড বাই হিসেবে রাখা হয়েছিল নাঈমকে। সিরিজের শেষ ম্যাচে লিটনের পরিবর্তে স্কোয়াডে দেখা যেতে পারে এই ওপেনারকে।

সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে ৩৩ রানে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্বতিতে ১০৩ রানের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের এটিই প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়। আগামী ২৮ মে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নামবে দুই দল।

প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের ফলে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছে বাংলাদেশ। আট ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে এখন শীর্ষে রয়েছে তামিম সাকিবরা। আর পাঁচ ম্যাচ খেলেও এখনো কোন পয়েন্ট অর্জন করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। তাদের অবস্থান এখন ১২ নম্বরে।

তবে প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেলেও কোন ম্যাচেই জ্বলে উঠতে পারেনি বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ম্যাচে ৯৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ৭৪ রানে প্রথম সারির ৪ ব্যাটসম্যানকে হারায় বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেই মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জুটিতে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে লড়াই করার পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ।

দুই ম্যাচেই ম্যাচসেরা হয়েছেন মুশফিক। প্রথম ম্যাচে ৮৪ রান করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ১২৫ রানের ইনিংস খেলেছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এরপর দারুণ বল করে ম্যাচ জিতিয়েছেন বোলাররা। দুই ম্যাচেই দারুণ বল করেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমান। দুই ম্যাচে মিরাজ শিকার করেছেন ৭ উইকেট ও মুস্তাফিজ পেয়েছেন ৬ উইকেট।

তবে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও বল হাতে মোটামুটি সফল ছিলেন সাকিব আল হাসান। দুই ম্যাচে ৩ উইকেট শিকার করেছেন এই অলরাউন্ডার। এছাড়া মুস্তাফিজুর রহমান দুই ম্যাচে দারুণ বল করেছেন। এই পেসার দুই ম্যাচে শিকার করেছেন ৬ উইকেট।

শেষ ওয়ানডের বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, সৌম্য সরকার, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শেখ মেহেদি হাসান, শরিফুল ইসলাম, নাঈম শেখ।

স্ট্যান্ড বাই: তাইজুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link