ভারত না আসলে পাকিস্তানেরও যাওয়া উচিত নয়!

নিজের উত্তরসূরির সমালোচনাও করেছেন মঈন খান। তিনি বলেন, ‘আজমেরও ঘাটতি আছে, শারিরীক ও মানসিকভাবে তাঁকে আরো শক্তিশালী হতে হবে। অন্যদের ফিটনেস রুটিন অনুসরণ করতে হবে। আশা করব সে পুরনো অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিবে।’

আট বছরের বিরতি কাটিয়ে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, ২০২৫ সালের শুরুর দিকেই পর্দা উঠবে টুর্নামেন্টের। কিন্তু এখনও ভবিষ্যৎ নিশ্চিত নয়! আয়োজক দেশ পাকিস্তান হওয়ায় ভারত অংশগ্রহণ করবে কি না তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। আর অংশগ্রহণ করলেও টুর্নামেন্টের রূপরেখা কেমন হবে সেটিও ভাবার বিষয়।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভাগ্য নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার মঈন খান। তিনি মনে করেন ভারত এই টুর্নামেন্টে অংশ না নিলে বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট প্রসারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এ ব্যাপারে ভারতীয় কিংবদন্তিদের বিসিসিআইকে পরামর্শ দেয়া উচিত এমনটাই মত তাঁর।

সাবেক এই পাক অধিনায়ক বলেন, ‘আমার মতে, ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তিদের উচিত বিসিসিআইকে রাজনীতি থেকে ক্রিকেটকে আলাদা করে ভাবতে পরামর্শ দেওয়া। বিশ্বব্যাপী সমর্থকেরা চায় ভারত ও পাকিস্তান খেলুক। এতে শুধু পাকিস্তান নয় পুরো ক্রিকেট বিশ্বই উপকৃত হবে।’

সেই সাথে প্রতিবেশী দেশের প্রতি প্রচ্ছন্ন হুমকিও শোনা যায় তাঁর কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘ভারতকে অবশ্যই আইসিসির নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। কিন্তু তাঁরা যদি নিয়ম অমান্য করে তাহলে পাকিস্তানের উচিত হবে ভবিষ্যতে ভারতের মাটিতে কোন টুর্নামেন্ট না খেলা।’

এছাড়া এই কিংবদন্তি নিজের ছেলে আজম খানকে নিয়েও কথা বলেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আজম শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘নির্বাচকরা হুটহাট তাঁকে দলে নিয়ে আবার দ্রুতই বাদ দিয়ে দেয়। এমন স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা হলে ভাল ক্রিকেটার তৈরি হবে কিভাবে?’

নিজের উত্তরসূরির সমালোচনাও করেছেন মঈন খান। তিনি বলেন, ‘আজমেরও ঘাটতি আছে, শারিরীক ও মানসিকভাবে তাঁকে আরও শক্তিশালী হতে হবে। অন্যদের ফিটনেস রুটিন অনুসরণ করতে হবে। আশা করব সে পুরনো অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিবে।’

Share via
Copy link