একটু স্বস্তি, সাথে সামান্য স্থিতি। বাংলাদেশের টপ অর্ডারের বেহাল দশার একটা সমাধান হয়ে আবারও সামনে এলেন মুমিনুল হক। ভঙ্গুর টপ অর্ডারকে আড়াল করবার আপ্রাণ চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন মুমিনুল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও অর্ধশত রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
ক্যারিয়ারে একটা লম্বা সময় ধরে তিন নম্বরে ব্যাটিং করবার অভিজ্ঞতা রয়েছে মুমিনুলের। মাঝে অবশ্য চার নম্বরে নেমেছেন অফ ফর্মের গ্যাড়াকলে। তবে আবারও তিন নম্বরে ফিরে উজ্জ্বলতা ছড়াচ্ছেন ব্যাট হাতে। গেল সাত ইনিংসের মধ্যে তিন ইনিংসে পঞ্চাশের বেশি রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
ভারতের বিপক্ষে ১৩ তম শতকের দেখা পেয়েছিলেন তিনি। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৮২ রানের একটি ইনিংস খেলেছেন। তারপর সুদূর ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ৫০ রান করেছেন বা-হাতি এই ব্যাটার। যদিও তার কাছ থেকে আরও বড় সব ইনিংস প্রত্যাশিত।
একটা সময় তিনি ছিলেন সাদা পোশাকে টাইগারদের সেরা ব্যাটার। মাঝে তার পারফরমেন্সের হয়েছিল বেহাল দশা। দল থেকে ছাটাই করবার আলোচনাও ছিল সরব। সে পরিস্থিতি থেকে যেন ধীরে ধীরে ফিরে আসার প্রয়াশই করছেন তিনি। যদিও তার ইনিংসগুলো দলের জন্যে খুব একটা উপকার বয়ে নিয়ে আসতে পারছে না।
সে দায় তার যতটা না, ঠিক ততটাই গোটা দলের। দল হিসেবে পারফরম করতেই যেন ভুলে গেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে বাংলাদেশের ব্যাটাররা সাদা পোশাকে রীতিমত কিংকর্তব্যবিমূঢ়। এমন এক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টাই করে যাচ্ছেন মুমিনুল।
টেস্ট দলের সাবেক এই অধিনায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও খেলেছেন দায়িত্বশীল একটা ইনিংস। ১১৬টি বল খেলেছেন। বেশ সংগ্রাম করেছেন তিনি বাইশ গজে। একপ্রান্ত থেকে তরুণ ক্রিকেটারদের বেহাল দশা অবলোকন করে গেছেন। নিজে আরেক প্রান্ত আগলে রাখার চেষ্টা করেছেন।
তবে সফল হতে পারেননি এদফা। জেইডন সিলসের মিডল স্ট্যাম্পের ফুলার লেন্থের বলটা বিপাকে ফেলেছে তাকে। ভেতরের দিকে অগ্রসর হওয়া বলটিতে লেগ বিফোর আউট হয়েছেন মুমিনুল। রিভিউ নিয়েও উপকার পাননি তিনি। তিনি অবশ্য ভেবেছিলেন আম্পায়ার ক্যাচ আউটের পক্ষে মত দিয়েছিলেন।
ফিফটি করার পরের বলেই ফিরতে হয়েছে তাকে প্যাভিলিয়নে। মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। ১৪ তম সেঞ্চুরির পথে এগোতে তিনি হয়ত পারতেন। কিন্তু ফিফটিতে যেন মনোযোগ খানিক টলে যায়। একটা মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলার পর মনোযোগের ঘাটতি হওয়া, বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রেক্ষাপটে নতুন কিছু নয়।