প্রথম ম্যাচে কানাডার সাথে জিতে শুরু করা বেলজিয়ামের সামনে সুযোগ ছিলো দ্বিতীয় রাউন্ড প্রায় নিশ্চিত করে ফেলার।ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ড্র করে বিশ্বকাপ শুরু করা মরক্কো তাদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা জয়টি তুলে নিল আজ। ২-০ গোলে বেলজিয়ামকে হারিয়ে এবারের বিশ্বকাপে আবারো অঘটনের জন্ম দিল মরক্কো।
ম্যাচের শুরু থেকেও ছিলো বেলজিয়ামের প্রধান্য। তবে গোল আদায় করার মতো বেশি সুযোগ তারা তৈরি করতে পারেনি। ৩৩ মিনিটে মাস মুইলারের ডান দিক থেকে নেওয়া একটি শট ঠেকানো ছাড়া আর তেমন কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি মরক্কোর গোলরক্ষককে।
ম্যাচের ৩৯ তম মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনের শট পোস্ট ঘেষে চলে গেলে আর লিড নেয়া হয়নি বেলজিয়ামের। পুরো ম্যাচ জুড়েই নিজেদের ছায়া হয়ে ছিল মরক্কো দল।
নিজেদের রক্ষণ ঠিক রেখে প্রতি আক্রমণে যাচ্ছিল মরক্কোও। এমনকি প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে এগিয়েও যেতে পারত মরোক্কো। রোমেন সাইসের ফ্রি কিক থেকে গোলের উৎসবে ভাসলেও ভিএআরের সিদ্ধান্তে গোল বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। প্রথমার্ধের শেষ অবদি ৭০ শতাংশ বল দখলে রেখেছিলো বেলজিয়াম। কিন্তু গোলশুন্য ভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে সমান তালে আক্রমণ চালাতে থাকে দুই দল। খেলার ৫০ তম মিনিটে হাকিম জিয়েসের ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শট ফিরিয়ে দেন থিবো কর্তোয়া। অন্যদিকে এর ২ মিনিট পর হ্যাজার্ডের জোরালো শট ফেরান মরক্কোর গোলরক্ষক। খেলার ৫৬ তম মিনিটে বুউফাল এর শট কর্তোয়াকে পরাস্থ করলেও তা পোস্ট ঘেষে চলে গেলে গোলশূণ্য ভাবেই এগোতে থাকে খেলা।
তবে খেলার ৭৩ তম মিনিটে গোললাইন থেকে ৩০ মিটার দূর থেকে নেয়া ফ্রি-কিকে মরোক্কোকে ১-০ গোলের লিড এনে দেন সাবিরি। এটি তার ক্যারিয়ারের ২য় গোল। নিজের জন্মদিনের আগের দিনে নিজের দেশকে এরচেয়ে বড় উপহার আর দিতে পারতেন না সাবেরি।
পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করলেও গোলের দেখা পায়নি বেলজিয়াম। উল্টো খেলার অতিরিক্ত সময়ে অসাধারণ ফিনিশিংয়ে মরক্কোর জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন আবুলখাল।
অবিস্মরণীয় এই জয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবার রেসে এখনো টিকে রইলো মরক্কো। অন্যদিকে নিজেদের সোনালি প্রজন্ম আবারো হতাশ করলো বেলজিয়ামকে। আর্জেন্টিনা,জার্মানির পর অঘটনের শিকার ফিফা র্যাংকিংয়ের দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেলজিয়াম।