গেলো দুই বছরে করোনা ভাইরাসের প্রকোপে খুব বেশি সিরিজ খেলতে পারেনি অধিকাংশ দেশই। ২০১৯ সালে সবকিছু ঠিকঠাক চললেও পরবর্তীতে ২০২০ সালে করোনার হানায় স্থগিত হয় অনেক সিরিজ। পরবর্তীতে অবশ্য জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থেকে সিরিজ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় বিভিন্ন ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃপক্ষরা।
এই দুই বছরে অনুষ্ঠিত হওয়া ওয়ানডে সিরিজ গুলোতে দাপুটে বোলিং করেছেন তিন জন। এর মধ্যে সবার উপরে আছেন অজি লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। এরপর যে দু’জন আছেন তার মধ্যে একজন হলেন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি এবং বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
২০১৯ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় অবধি ওয়ানডে ক্রিকেটের সেরা বোলার খুঁজতে গেলে এই তিনজনের নামই আসবে সবার আগে। অন্তত পরিসংখ্যানে তাঁরাই এগিয়ে।
আজকের আলোচনা মূলত এই তিনজনকে নিয়েই। চলুন দেখে আসি গেলো দুই বছরে ওয়ানডেতে উইকেটশিকারির তালিকায় শীর্ষে থাকা এই তিনজনের পরিসংখ্যান।
- অ্যাডাম জাম্পা (অস্ট্রেলিয়া)
২০১৯ সাল থেকে গেলো দুই বছরে ৩১ ম্যাচে ২৮.৪৯ গড়ে ৫৫ উইকেট নিয়ে ওয়ানডেতে শীর্ষে আছেন অজি লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। ২০১৯ সালে ১৫ ম্যাচে ৩৫.৪৩ গড়ে ২৩ উইকেট নিলেও ২০২০ সালে সেটি ছাপিয়ে বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন তিনি।
১৩ ম্যাচে মাত্র ২৩.৭৪ গড়ে ২৭ উইকেট নেন তিনি! আর চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩ ম্যাচে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। এই সময়ের সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহক তিনিই। আর পরিসংখ্যানই বলছে সময়ের সেরা লেগ স্পিনারদের একজন তিনি।
- মোহাম্মদ শামি (ভারত)
গত দুই বছরে ২৭ টি ওয়ানডে ম্যাচে প্রায় ২৫ গড়ে ৫৪ উইকেট ঝুলিতে নিয়েছেন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি। ২০১৯ সালে ২১ ম্যাচে প্রায় ২৩ গড়ে ৪২ উইকেট শিকার করেন তিনি!
একদম উড়ন্ত ফর্মে থাকা শামি করোনা ভাইরাস মহামারীর মাঝে ২০২০ সালে ওয়ানডে খেলেছেন মাত্র ৬ টি। এই ৬ ম্যাচে ৩৩ গড়ে ১২ উইকেট শিকার করেন শামি। এরপর চলতি বছর এখন পর্যন্ত ওয়ানডে ম্যাচ খেলেননি তিনি।
- মুস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ)
২৮ ম্যাচে ২৫.৯০ গড়ে ৫৪ উইকেট! এটি গত দুই বছরে মুস্তাফিজুর রহমানের ওয়ানডের পরিসংখ্যান। এই দুই বছরে ২৮ ম্যাচ খেলেই ওয়ানডেতে উইকেট সংখ্যায় তিনে অবস্থান করছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। মোহাম্মদ শামির চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলায় মূলত কিছুটা পিছিয়ে আছেন তিনি।
তবে, উইকেটের দিক থেকে শীর্ষস্থানে যেতে প্রয়োজন মাত্র দুই উইকেট। ২০১৯ সালে ১৬ ম্যাচে ২৮ গড়ে ৩৪ উইকেট শিকার করেন তিনি! করোনা ভাইরাস আর ইনজুরিতে গেলো বছর বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি ফিজ। দুই ম্যাচে শিকার করেন দুই উইকেট। আর চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচে নিয়েছেন ১৮ উইকেট।