চলতি পাকিস্তান বনাম ইংল্যান্ড টেস্টের পিচ নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটারদের। এমনটাই হওয়া স্বাভাবিক। যে পাকিস্তান বাংলাদেশ দলের সাথেই দেশের মাটিতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। সেই একই পাকিস্তানের রাতারাতি ফর্ম ফেরার আশায় পিচ বদলে ফেললে সমালোচনা আসবেই।
মুলতানে প্রথম দিন শেষে আবদুল্লাহ শাফিক এবং অধিনায়ক শান মাসুদ শত রানের দেখা পান। শানের ক্যারিয়ারে এই শতক এসেছে দীর্ঘ ৪ বছর বাদে। অন্যদিকে আবদুল্লাহ শাফিকের এটা বছরের প্রথম শতক। অথচ এ বছরে ব্যাট হাতে তার গড় ২০.৫৭।
বাংলাদেশের সাথে সিরিজে একবার মাত্র চল্লিশের বেশি রান করা সালমান আলি আঘাও পৌঁছেছেন শতকের দোর গোড়ায়। অন্যদিকে বোলার নাসিম শাহ দেখা পেয়েছেন ৩৩ রানের। যা তার ৬ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
উপরন্তু পাকিস্তান দলের ব্যাটারদের পিচ বদলের দাবির সংবাদ তো সবার জানাই আছে। এ নিয়ে একদফা কোচের মুখে শাট আপ শুনেও ক্ষান্ত দেয়নি তারা। বরং গড়েছেন হাইওয়ে পিচ।
এ ধরণের উইকেটে বোলারদের জন্যে থাকে না কোন রসদ। বোলাররা বনে যেন স্রেফ বোলিং মেশিন। ইংলিশ বোলিং ইউনিটও এর বাইরে নয়। সেহেতু পিচ নিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন সাবেক ইংলিশ তারকা মাইকেল ভন এবং কেভিন পিটারসন।
ভন তার এক্স (সাবেক টুইটার) একাউন্টে উইকেটকে ‘মুলতানের রাস্তা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি সে পিচে কটাক্ষ করেছেন শান মাসুদের শতককে। তিনি বলেছেন, ‘শানের ব্যাটিং দেখতে চমৎকার লাগছে, লাগছে সে প্যাডেল জুতো পায়ে ব্যাট করছে।’
কিংবদন্তি কেভিন পিটারসনও এক চোট দেখে নিয়েছেন। মুলতানের পিচকে তিনি বোলিংয়ের মৃত্যুস্থল বলতেও দ্বিধা করেননি। বলেই বসেছেন, ‘মুলতানের উইকেট যেন বোলারদের গোরস্থান।’
রাতারাতি পাকিস্তানি ব্যাটারদের ব্যাটিং ফর্ম ফেরাতে গ্রাউন্ডসম্যানরা যেন বোলারদের জন্যে কিছুই রাখেননি। অখেলোয়াড়সুলভ এ আচরণে রান এলেও পিচ প্রশ্নবানে জড়াবে এমন হওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। পাকিস্তান দলের এ আচরণ যেন টেস্ট বক্ষে এক রাশ কলঙ্কে লেখা প্রহসন।