ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন ‘কিং’ খান

ইউসুফ পাঠান অবশ্য ঘরোয়া ক্রিকেটের গ্রেট ছিলেন। আইপিএল, বিশ্বকাপ - সবই জিতেছেন তিনি। মুশির খান কতদূর যাবেন, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত তিনি আলোক বিস্ফোরণ করেই যাচ্ছেন, আর সেই আলোতে দ্রুতই খুলে যাবে ভারতীয় ক্রিকেটের দরজা। 

‘খান’দের রাজত্ব সম্ভবত ভারতীয় ক্রিকেটে ক্রমেই বাড়তে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেটে। সরফরাজ খানের হাত ধরে সম্ভবত মুশির খানের জন্যও খুলতে চলেছে ভারতীয় দলের দরজা। দুলীপ ট্রফিতে এখন চলছে ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন খানের রাজত্ব।

দুলীপ ট্রফিতে অভিষেকেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন। ডাগ আউটে বসে সেই সেঞ্চুরি উদযাপন করেছেন ভাই সরফরাজ খানও। এর আগে রঞ্জিতেও ছিলেন সরব। তিন ম্যাচের ছয় ইনিংসে তিনি একটি ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছেন। সাথে আছে একটি করে সেঞ্চুরি ও হাফ-সেঞ্চুরি।

সব মিলিয়ে সময় এখন মুশির খানের। তিনিই ভারতের ক্রিকেটের নেক্সট বিগ থিঙ, দ্য কিঙ খান অব ইন্ডিয়ান ক্রিকেট। অথচ, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নিলামে তাঁর নাম নেই। সে নিয়ে মুশিরের আক্ষেপ নেই।

তিনি বলেন, ‘আইপিএলে আমি নেই। সে নিয়ে আমার আক্ষেপও নেই। আমি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মনোযোগ দিচ্ছি। বাবা বলেন, আমার পক্ষে টেস্ট খেলা সম্ভব। আমিও মনে করি, আজ বা কাল – যখনই হোক আমার জন্য টেস্ট দলের দরজা খুলবেই।’

ভারতীয় দলে এর আগেও দুই ভাই খেলেছেন এক সাথে। সিকে নাইড়ু-সিএস নাইড়ু ছিলেন, এরপর মহিন্দর অমরনাথের সাথে খেলেছেন সুরিন্দর অমরনাথও। একালে এসেছেন ইরফান পাঠান ও ইউসুফ পাঠান। তবে এই জুটিদের মধ্যে একজনের নামই বারবার উচ্চারিত হয়, সিকে নাইড়ু, মহিন্দর কিংবা ইরফান যেভাবে গ্রেটনেস ছুঁয়েছেন, সেই তুলনায় তাঁদের ভাইয়েরা ছিলেন আড়ালের তারকা হয়ে।

ইউসুফ পাঠান অবশ্য ঘরোয়া ক্রিকেটের গ্রেট ছিলেন। আইপিএল, বিশ্বকাপ – সবই জিতেছেন তিনি। মুশির খান কতদূর যাবেন, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত তিনি আলোক বিস্ফোরণ করেই যাচ্ছেন, আর সেই আলোতে দ্রুতই খুলে যাবে ভারতীয় ক্রিকেটের দরজা।

Share via
Copy link