আলোর সবটাই এক মুশফিকের উপর!

রাত পোহালেই ইতিহাস হবে। স্নিগ্ধ সকালের সতেজতা ভেদ করে যে সূর্যটা আলো ছড়াবে, তার সবটাই পড়বে একজনের উপর। তিনি আর কেউ নন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য নাম মুশফিকুর রহিম। তাই তো যত আলোচনা, উন্মাদনা কিংবা আয়োজন সবটাই তাঁকে নিয়েই।

রাত পোহালেই ইতিহাস হবে। স্নিগ্ধ সকালের সতেজতা ভেদ করে যে সূর্যটা আলো ছড়াবে, তার সবটাই পড়বে একজনের উপর। তিনি আর কেউ নন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য নাম মুশফিকুর রহিম। তাই তো যত আলোচনা, উন্মাদনা কিংবা আয়োজন সবটাই তাঁকে নিয়েই।

সতীর্থ থেকে গণমাধ্যমকর্মী, সবাই যেন মেতে উঠেছে মুশফিক বন্দনায়। অবশ্য এটাই তো হওয়ার কথা। ক্রিকেটের ইতিহাস ঘাটলে ছোট পরিসরে যত অর্জন, তাঁর পরতে পরতে তো পরশ বুলিয়ে গেছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। তাঁকে যে কুর্নিশ না জানালেই নয়।

২০০৫ সাল, লর্ডসের মাটিতে গুটি গুটি পায়ে ক্রিজে এল এক কিশোর। এরপর সময়ের কাঁটা তাঁকে প্রাপ্তবয়স্ক করল, পেরিয়ে গেল দুই দশক। কেউ বোধহয় তখন ভাবেনি একটা আনাড়ি ছেলে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে লিখবেন দেশের ক্রিকেটের অনন্য এক অধ্যায়।

কত ভাঙাগড়া দেখেছেন, হারের ক্ষত নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন, আবার কখনও জয়ের উল্লাসে ফেটে পড়েছেন, ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রতিপক্ষের আঘাতে যখন ফাটল ধরেছে রক্ষণের দেয়ালে, নিজের ব্যাটটাকে ঢাল বানিয়ে প্রতিহত করেছেন, মাইলফলক দিয়ে প্রলেপ এঁটে দিয়েছেন ফাটলে।

অর্জনের খেরোখাতার পাতায় পাতায় সেই নামটাই তো বড় অক্ষরে লেখা। ইতিহাসের পাতা কিংবা সবুজ গালিচা সবখানেই তো বিরাজমান মুশফিক, সবখানেই সগৌরবে তাঁর বিচরণ।

তাই তো শততম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিককে নিয়েই সরগরম সব জায়গা। কিংবদন্তিকে ছুঁইয়ে দেখা, একই ফ্রেমে তাঁর সাথে বন্দী হওয়া—যে বিশেষ কিছুই। শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম যে মুখরিত তাঁর পদচারণায়।

সময়টা গল্পের শেষ পৃষ্ঠায় এসে দাঁড়িয়েছে। অনেক কিছু বদলে গেছে ঠিকই, তবে শেষ বেলায় এসেও বদলাননি মুশফিক। ক্রিকেটটা যার কাছে ছিল ভিন্ন এক জগত। এখানে পা রাখলেই আর কোনো কিছু ভাবার সুযোগ নেই। একাগ্রতা, অধ্যাবসায় দিয়ে যে তিনি গড়ে তুলেছেন নিজের রাজত্ব—যেখানে তাঁকে কুর্নিশ জানাতে বাধ্য হবে সময়টাও।

 

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link