উইকেটের পেছনে দাঁড়ালে নাকি তিনি বাড়তি অনুপ্রেরণা পান। সেটা নাকি তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়ায় ব্যাটিংয়ে। সেদিক থেকে নিজের জায়গাটা আরও পাকাপোক্ত করার মিশনে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম।
ব্যাটিংয়ে ইদানিং হারানো ধারটা ফিরে পেতে শুরু করেছেন তিনি। সেই সূত্র ধরে আয়ারল্যান্ড সফরে উইকেটের পেছনেও হয়তো ধারটা বাড়তেই পারে তাঁর। গ্লাভস হাতে নিজের ভূমিকাটা ঝালাই করে নিচ্ছেন তিনি। ব্যাটের সাথে সাথে তো এক জোড়া তুখোড় গ্লাভসও তো যেকোনো সময়ই পাল্টে দিতে পারে ম্যাচের ফলাফল।
সিলেটে চলমান ক্লোজডোর প্র্যাকটিস সেশনটায় লঙ্কান কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে মূলত স্কিল ডেভেলপমেন্টের কাজ করছেন। সেখানে সবার দিকেই কোচের আছে বাড়তি নজর। আর এখানে হাতুরুসিংহেকে সাহায্য করছেন বাকি কোচিং স্টাফরা। বেশ মহাযজ্ঞ এক আয়োজন।
সেখানে মুশফিক লম্বা সময় কাটালেন উইকেট কিপিং অনুশীলনে। বয়স হয়ে গেলেও মুশফিকের একাগ্রতা আর পরিশ্রম নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। এবার পরিশ্রমী মুশফিক সিরিয়াস হলেন উইকেট কিপিং নিয়ে।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মুশফিক এখন আর খেলেন না। অবসর নিয়ে ফেলেছেন। টেস্টে উইকেটের পেছনে দাঁড়ান লিটন কুমার দাস। আর ওয়ানডেতে এই দায়িত্বটা মুশফিকের ওপর।
ফলে আসছে আয়ারল্যান্ড সফরে ওয়ানডেতে এই দায়িত্বটাতেই বহাল থাকবেন মুশফিকই। আর এরপর সামনেই তো বিশ্বকাপ। এখন আর এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই। ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকডরমেটকে সাথে নিয়ে তাই লম্বা সময় চলল মুশফিকের অনুশীলন। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নেটে মুশফিক এদিন যথেষ্ট ঘাম ঝরালেন।
ভুলে গেলে চলবে না, ২০১৯ বিশ্বকাপে এই মুশফিকের শিশুতোষ এক ভুলেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ হারতে হয় বাংলাদেশকে। সেদিন কেন উইলিয়ামসন সময় মত রান আউট হয়ে গেলেই হয়তো বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলতে পারত বাংলাদেশ দল।
সেদিনের সমালোচনা ট্রল নিশ্চয়ই ভুলে যাননি মুশফিক। আর এবার বিশ্বকাপ ভারতে বলেই ভাল সুযোগ আছে বাংলাদেশেরও। এবার নিশ্চয়ই আর ভুল করতে চাইবেন না মুশফিক।
এই মুহূর্তে দলের সবচেয়ে সিনিয়রদের ক্রিকেটারদের একজন মুশফিক। এই বিশ্বকাপটার পর যে তিনি আর বড় কোনো টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ পাবেন না – তা চোখ বুজেই বলা যায়। নিজের শেষ বিশ্বকাপের আগে তাই পরিশ্রমে কোনো ছাড় দিচ্ছেন না মুশফিক। আর মুশফিক এই পরিশ্রমের ফল পেলে আখেরে লাভ তো বাংলাদেশ দলেরই।