কাঁধের ইনজুরির কারণে ইংলিশ পেসার হ্যারি গার্নিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তিনি নটিংহ্যাম্পশায়ারের বাঁ-হাতি পেসার। তাঁর বিদায়ে গুঞ্জন ছিল, অনেকদিন বাদে আবারো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) খেলার সুযোগ পেতে পারেন। অন্তত ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবী ছিল তেমনই।
তবে, এবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে মুস্তাফিজের অপেক্ষার অবসান হবে না। কলকাতা শুধু নয়, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সও তাঁকে চেয়েছিল। কিন্তু, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অনাপত্তিপত্র বা এনওসি মেলেনি শ্রীলঙ্কা সফরের কারণে।
কলকাতা ও মুম্বাই – দুটি দলই গত মাসে মুস্তাফিজের সঙ্গে এজেন্টের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিল। এমনকি ফ্র্যাঞ্চাইজি দু’টি বিসিবিকেও ই-মেইল পাঠিয়েছিল তারা। কিন্তু বাংলাদেশ দলের আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরের অজুহাতে কাটার মাস্টার খ্যাত এই তরুণ ক্রিকেটারকে ছাড়পত্র দেয়নি বিসিবি।
এই ব্যাপারে মুস্তাফিজ বলেন, ‘কলকাতা থেকে যোগাযোগ করেছিল। তারা আমাকে ও বিসিবিকে মেইল করেছিল। আমাদের খেলা আছে শ্রীলঙ্কায়, তাই এনওসি দেয়া হয়নি। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সও কথা বলেছিল। দুটি দলই গত মাসে কাছাকাছি সময়ে কয়েকদিনের ব্যবধানে যোগাযোগ করেছিল।’
চলতি মাসের শেষের দিকে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। সিরি শুরু হবে তিন টেস্ট দিয়ে। শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এখন ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করছেন। দলগত অনুশীলন শুরু হতে পারে সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে। টেস্ট দলে থাকবেন মুস্তাফিজ, যদিও গেল বছরের মার্চে নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত টেস্টের পর তিনি আর সাদা পোশাক গায়ে চাপাননি।