তামিম ইকবাল ভুলে গিয়েছিলেন তিনি কার বিপক্ষে ব্যাট করছেন। এ যে জহির খান খান কিংবা মুনাফ প্যাটেল নন। কিংবা তামিম ইকবালও কি আর ২০০৭ বসে আছেন নাকি! তামিমের সেই ভুলে যাওয়াটাকেই কাজে লাগালেন নাহিদ রানা, বাংলাদেশের নতুন পেস সেনসেশন।
তামিম ইকবাল ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। যেভাবে তিনি ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন জহির-মুনাফদের বিপক্ষে। নাহিদের ডেলিভারিটা ছিল ফুল অ্যান্ড স্ট্রেট। তামিম তখন চার্জড আপ। রীতিমত চার ছক্কার বন্যা ছোটাচ্ছেন।
এগিয়ে গিয়ে খেলতে গেলেন। বোল্ড। বেলগুলো বাতাসে ভাসল। নাহিদের মুখে হাসি। যে হাসিটা আজকাল বিশ্বের যে কোনো ব্যাটারদের রাতের ঘুম হারাম করে ফেলেছে। আর সেখানে তামিম ইকবাল তো তাঁর সুদিন হারিয়ে ফেলেছেন।
তামিম ইকবাল সেদিন সিনিয়র বলে কোনো বাড়তি সম্মান জহির খানকে দেননি। আজ তামিমের সিনিয়রিটির সম্মান দিলেন না নাহিদ রানার। আজ তামিম যেখানে, সেখানে একদিন জহীর খান ছিলেন। আজ নাহিদ যেখানে, সেখানে এক সময় তামিমও ছিলেন। তামিম নিজেই তো একদিন এসব মিলিয়ে বলেছিলেন পৃথিবী গোল।
নিজের কথাটা এবার তামিমের বুকে এসেই আঘাত হানল। অবশ্য, স্রেফ সিনিয়রিটির জন্য নাহিদ খুব কম লোককেই মাঠের খেলাতে সম্মান দেখিয়েছেন। খোদ বাবর আজমই পাননি। এমনকি এবার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেরও পরিণতি একই। তামিম আক্রমণ করতে গিয়ে আউট হয়েছেন, রিয়াদ আউট হয়েছেন ডিফেন্ড করতে গিয়ে।
মানে, আক্রমণ করুন আর রক্ষণ – নাহিদের বিপক্ষে টিকে যাওয়া কঠিন। সামনে কে ব্যাট করছেন, নাহিদের তা দেখার সময় নেই। তিনি আপনাকে আটকাবেন। ব্যাটাররা এখানে কেবল টিকে থাকার প্রার্থনাই করতে পারেন।