নাইম ঝড় চলছে, চলবে!

স্ট্রাইকরেট আর ধারাবাহিকতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন তোলা হয়েছে নাইম শেখের বিরুদ্ধে। সব আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ব্যাট হাতেই বাউন্ডারি পার করলেন তিনি। এনসিএল টি-টোয়েন্টি, বিপিএল এখন ডিপিএল। নাইমের রান উৎসব যেন থামছেই না। টানা ২৫-৩০ টা ম্যাচে ধারাবাহিক পারফর্ম করা চাট্টিখানি কথা না।

উড়ছেন মোহাম্মদ নাইম শেখ! না আসলে উড়াচ্ছেন, প্রতিপক্ষের বলগুলো উড়িয়ে আছড়ে ফেলছেন সীমানার ওপারে। টানা তিন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের মাইলফলক গড়ার পথে এখন তিনি।ব্রার্দাস ইউনিয়নের বিপক্ষে খেললেন অবিশ্বাস্য বিধ্বংসী এক ইনিংস। ১২৫ বলে ১৮ চার আর আট ছক্কায় করেছেন ১৭৬ রান।

স্ট্রাইকরেট আর ধারাবাহিকতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন তোলা হয়েছে নাইম শেখের বিরুদ্ধে। সব আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ব্যাট হাতেই বাউন্ডারি পার করলেন তিনি। এনসিএল টি-টোয়েন্টি, বিপিএল এখন ডিপিএল। নাইমের রান উৎসব যেন থামছেই না। টানা ২৫-৩০ টা ম্যাচে ধারাবাহিক পারফর্ম করা চাট্টিখানি কথা না।

নাইম যেন সেই অসাধ্যকে একদম মুড়িমুড়কি বানিয়ে ফেলেছেন। ছিলেন এনসিএল টি-টোয়েন্টি ও বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। বিপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে এই বিরল কৃতি গড়েছিলেন তিনি মাস দুয়েক আগে।

সেই ধারাই বজায় আছে চলতি ডিপিএলেও। প্রথম ম্যাচে খারাপ করলেও পরের দুই ম্যাচে পুষিয়ে দিয়েছেন তিনি। এখন অবধি টুর্নামেন্ট এর সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী তিনি।
ব্রার্দাসের বিপক্ষে শুরু থেকেই বাইশগজে রুদ্রমূর্তি ধারন তিনি। সাত বোলার ব্যবহার করেও কোন লাভ হয়নি। কাভার ড্রাইভ, পুল, সুইপ,উইকেটের পিছনে কোথাও বাদ রাখেননি তিনি বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারির বন্যা ছড়াতে।

সবচেয়ে বেশি ঝড় গেছে ‘বেবি মালিঙ্গা’ খ্যাত নুর মোহাম্মদের উপর। তার এক ওভারে দৃষ্টিনন্দন তিন ছক্কায় ব্যক্তিগত সংগ্রহ ১৫০ পার করেন তিনি।

তবে আফসোস একটা হয়ত রয়েই গেল , দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে লিস্ট-এ ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি করার মাইলফলকটা যে অধরাই থেকে গেল। যখন সাজঘরে ফিরে যান নাইম, তখন দল ছাড়িয়ে গেছে ৩০০ রানের কোটা, তখনও বাকি ১০ ওভার! যাইহোক, টুর্নামেন্টের পর টুর্নামেন্ট দুর্দান্ত স্ট্রাইকরেট আর বড় ইনিংসে নাইম যেন জানান দিচ্ছেন, নাইম প্রস্তুত, হারিয়ে যেতে আসেননি তিনি।

Share via
Copy link